দেখভাল বাসিন্দাদের। —নিজস্ব চিত্র।
ভাড়া দিতে না পারায় বাড়িওয়ালা তাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। মাঠেই ত্রিপল টাঙিয়ে থাকতে শুরু করেন বৃদ্ধ ও তাঁর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেয়ে। মঙ্গলবার পুরসভার সাহায্যে ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হয় বৃদ্ধ ও তাঁর মেয়েকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিন দুয়েক ধরে কাটোয়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কলেজ মাঠে ত্রিপল টাঙিয়ে একটি তক্তা পেতে থাকছিলেন বছর বাহাত্তরের নবকুমার ঘোষ ও তাঁর মেয়ে, বছর চল্লিশের অনিতা ঘোষ। এলাকার কিছু যুবক পুলিশ ও প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। তাঁদের কিছু খাবারও কিনে দেওয়া হয়। বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাসিন্দারা জানতে পারেন, কলেজপাড়ায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি ও তাঁর মেয়ে। বছরখানেক ধরে ভাড়া মেটাতে না পারায় দিন দুয়েক আগে বাড়ির মালিকের সঙ্গে বচসা বাধে বৃদ্ধের। তখনই তাঁদের ঘর ছেড়ে দিতে বলা হয়। রবিবার সকাল থেকে কলেজ মাঠে রয়েছেন দু’জনে।
মঙ্গলবার ওই বৃদ্ধের সঙ্গে দেখা করে তাঁর ডায়েরি থেকে ছেলের ফোন নম্বর বার করে যোগাযোগ করেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। জানা যায়, নবকুমারবাবুর ছেলে, লটারি ও ক্যাটারিংয়ের ব্যবসায়ী সুজিত ঘোষের বাড়ি নিশানতলায়। তিনি বলেন, ‘‘আদর্শপল্লিতে বাবাকে বাড়ি ভাড়া করে দিয়েছি। বাবা ও দিদি সেখানেই থাকবে।’’ সঞ্জীববাবু বলেন, ‘‘লেনিন সরণিতে ওঁর মিষ্টির দোকান ছিল। এক সময়ে কাটোয়ায় বেশ কয়েক বিঘা জমির মালিকও ছিলেন বলে শুনেছি। কী ভাবে এই রকম পরিস্থিতি হল জানি না!’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সম্প্রতি পুরসভার উদ্যোগে কাশীগঞ্জপাড়ায় শহরের গৃহহীনদের থাকার জন্য কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজনে সেখানে নবকুমারবাবু ও তাঁর মেয়ের থাকার বন্দোবস্ত করা হতে পারে বলে জানান সঞ্জীববাবু।