হাসপাতালে বৃদ্ধা। নিজস্ব চিত্র।
নৌকাডুবির ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যুর স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই স্মৃতিকে উস্কে দিয়েই ফের বিপত্তি কালনা খেয়াঘাটে। রবিবার সকালে এক বৃদ্ধা ভাগীরথীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে খবর। তবে নৌকায় থাকা অন্য যাত্রীদের চেষ্টায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন ওই বৃদ্ধা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কালনা থেকে নদিয়ার নৃসিংহপুরগামী একটি নৌকায় উঠে বসেন ষাট বছরের বৃদ্ধা কমলা পটেল। যাত্রীরা জানান, নৌকা ছাড়ার খানিক বাদেই আচমকা ভাগীরথীতে ঝাঁপ দেন কমলাদেবী। বৃদ্ধাকে জলে খাবি খেতে দেখে নৌকার জনা কয়েক যাত্রী দ্রুত জলে নামেন। বৃদ্ধাকে উদ্ধারের পর দেখা যায়, তিনি জ্ঞান হারিয়েছেন। কমলাদেবীকে দ্রুত কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে বৃদ্ধা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিজের নাম ও ঠিকানা জানান। তবে নাম, ঠিকানা ছাড়া আর বৃদ্ধা আর তেমন কোনও কথা বলেননি বলে খবর। মাঝে শুধু দু’-এক বার তাঁকে আক্ষেপ করে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আবার তো বাড়ি ফিরতে হবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার বাড়ি হুগলির পাণ্ডুয়া রেল আবাসনে। তবে বৃদ্ধা কেন আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কালনাতেই বা তিনি কেন এসেছিলেন, সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এই ঘটনার পর খানিক গোলমাল ছড়ায় ফেরিঘাটে। এমনিতেই দুর্ঘটনার পর দিন চারেক খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল। মাঝিরা জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে যাত্রী পারাপারও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চলছে। এই ঘটনা ফের ফেরিঘাটের নিরাপত্তাকেই কাঠগড়ায় তুলল বলে মনে করছেন যাত্রীদের একাংশ।