বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ

টাকা দিলেই রক্ত মেলার আশ্বাস, ধৃত

মাস দেড়েকের মধ্যে দু’বার রোগীর পরিজনেদের প্রতারণার ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই রক্ত জোগাড় করে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন এক দালাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৪৮
Share:

পাকড়াও। নিজস্ব চিত্র

বির্তক পিছু ছাড়ছে না বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের।

Advertisement

মাস দেড়েকের মধ্যে দু’বার রোগীর পরিজনেদের প্রতারণার ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই রক্ত জোগাড় করে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন এক দালাল। ধৃত শেখ ইদ মহম্মদের বাড়ি শহরের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বাইরে পেয়ারা বিক্রি করতেন তিনি। কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসপাতালের ভেতরে যত্রতত্র হকার বসা নিয়ে প্রশাসনকে জানানো করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাখী মেটে নামে এক প্রসূতি বীরভূমের বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে বর্ধমানে আসেন। প্রসব সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে নেওয়া হয়। শনিবার এক বোতল রক্ত দেওয়া হয় তাঁকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফের চার বোতল রক্তের প্রয়োজন পড়ে। ওই তরুণীর বাবা কালোসোনা মেটের দাবি, হাসপাতালের বাইরে কোথা থেকে তাড়াতাড়ি রক্ত জোগাড় করা যায় তা নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁরা কথাবার্তা বলছিলেন। তখনই হাজির হন ওই পেয়ারা বিক্রেতা। তিনি জানান, চার হাজার টাকা আগাম দিলেই চার বোতল রক্ত পাওয়া যাবে। মেয়ের কথা ভেবে তাঁরা টাকা দিয়ে দেন ধৃতকে। কথা হয়, দুপুরে তাঁদের হাতে চার বোতল রক্ত এনে দেবেন তিনি।

Advertisement

কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও রক্ত না মেলায় ওই ব্যক্তিকে ধরে চিৎকার চেচাঁমেচি শুরু করে দেন প্রসূতির বাড়ির লোকজন। হাসপাতাল চত্বরে ঝামেলা চোখে পড়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের। তাঁরা শেখ ইদ মহম্মদকে ক্যাম্পে আটকে রেখে খবর দেন বর্ধমান থানায়। পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

অক্টোবরেই এই হাসপাতাল থেকে এক দালালকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ ছিল, রোগীর আত্মীয়দের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। এ দিন যিনি ধরা পড়লেন তিনি আবার হাসপাতালের বাইরে বসে জিনিসপত্র বিক্রি করেন। মেডিক্যালের কর্তাদের আশঙ্কা, হকার, বাইরের লোক আসা-যাওয়ায় একটু লাগাম না টানা গেলে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা মুশকিল।

হাসপাতালে ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহার দাবি, ‘‘হকার, বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু হাসপাতালের চৌহদ্দির বাইরের হকারদের মাধ্যমে এমন ঘটনা ঘটলে আমাদের সে ভাবে কিছু করার থাকে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন