দুর্ঘটনার পরে বাস ভাঙচুর, উত্তেজিত জনতা। নিজস্ব চিত্র
আবারও দুর্ঘটনা ঘটল নির্মীয়মাণ রেল উড়ালপুল এলাকায়। বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। বর্ধমানে মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙচুর চালানো হয় বাসটিতে। চলে রাস্তা অবরোধও। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল পৌনে ৬টা নাগাদ বহরমপুর থেকে বর্ধমানগামী একটি বাস কাটোয়া রোড থেকে পুরনো রেল উড়ালপুলে উঠছিল। সেই সময় বাজেপ্রতাপের দিকে যাওয়া একটি রিকশাকে বাসটি ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রিকশার আরোহী শেখ হাবিবউদ্দিন (৫৪)। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় রিকশার চালককে।
এর পরেই বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। বাসটি ভাঙচুর করা হয়। রাস্তায় মৃতদেহ রেখে অবরোধ চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ মহম্মদ আলি ও যুব তৃণমূল নেতা নুরুল আলম। বর্ধমান থানার আইসি তুষারকান্তি কর ও ট্র্যাফিক আধিকারিকেরাও পৌঁছন। পুলিশ দেহ নিয়ে যায়। জনতার সঙ্গে কথা বলে আধ ঘণ্টা পরে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আলুডাঙা এলাকার বাসিন্দা হাবিবউদ্দিনের চারখাম্বা এলাকায় আনাজের দোকান আছে। এ দিন বিকেলে তিনি পাইকারি বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনে রিকশায় করে দোকান খুলতে যাচ্ছিলেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেলের উড়ালপুল তৈরি হচ্ছে। ফলে, রাস্তা ছোট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেখান দিয়েই বাসগুলি দ্রুত গতিতে যাতায়াত করে। স্থানীয় বাসিন্দা ভবানীপ্রসাদ গুপ্ত, শেখ রাজু, সঞ্জয় জায়সবালেরা জানান, দিন পনেরো আগে এখানেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সুজাতা রায় নামে এক মহিলার। উড়ালপুল থেকে বাজেপ্রতাপপুরের দিকে যাওয়ার সময়ে চারখাম্বা মোড়ের কাছে একটি বাস তাঁকে ধাক্কা দেয়। এ দিনও সেই একই রকম ঘটনা ঘটল।
কাউন্সিলর শেখ মহম্মদ আলি বলেন, ‘‘যেহেতু উড়ালপুলের কাজ হচ্ছে, তাই এই এলাকায় গতি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। পুলিশকে বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করব। নাহলে আরও প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা থাকবে।’’ পুলিশের আশ্বাস, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।