নার্সারিতে অর্কিড চাষের প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র।
অর্কিড চাষে উদ্যোগী হয়েছে জেলা উদ্যান পালন দফতর। ওই দফতরের দাবি, দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে পূর্বস্থলীতেই প্রথম সরকারি ভাবে এই উদ্যোগ করা হচ্ছে। থাইল্যান্ড থেকে ইতিমধ্যেই আনা হয়েছে চারা।
ওই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী এবং পলাশপুলি এলাকায় বেশ কিছু পুরানো নার্সারির সঙ্গে কথা হয়েছে। মাটি এবং অর্কিডের উপযুক্ত পরিবেশ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা চলছে। উদ্যান পালন দফতরের কর্তাদের দাবি, এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই চারা বাছা হয়েছে। ১৪ জন চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। এ বছর চাষের খরচও দেবে সরকার।
কর্তারা জানান, পূর্বস্থলী ষ্টেশন লাগোয়া এলাকায় নার্সারিগুলিতে ‘শেড-নেটে’র মাধ্যমে চাষ করা হবে। এক এক জন চাষিকে তিনশোর বেশি চারা দেওয়া হবে। মহকুমা উদ্যানপালন আধিকারিক পলাশ সাঁতরা জানান, অর্কিড ফুলের বিশেষত্ব হল মাস খানেকেরও বেশি সময় ধরে ফুল ফুটে থাকে। শিলিগুড়ি এবং কালিম্পং-এর কিছু এলাকায় এই ফুলের চাষ হয়। তাঁর দাবি, বিকল্প চাষ হিসাবে অর্কিড লাভজনক। সব ঠিকঠাক চললে এলাকার চাষিরাও লাভবান হবেন।