চোলাই নিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে চিঠি সদস্যদের

গ্রামে চোলাইয়ের ঠেক চলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল গ্রামবাসীদের। কয়েকদিন আগে চোলাইয়ের বিষক্রিয়ায় আট জনের মৃত্যুতে ধুন্ধুমারও হয় গলসির ওই রামগোপালপুর-করকনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৪২
Share:

গ্রামে চোলাইয়ের ঠেক চলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল গ্রামবাসীদের। কয়েকদিন আগে চোলাইয়ের বিষক্রিয়ায় আট জনের মৃত্যুতে ধুন্ধুমারও হয় গলসির ওই রামগোপালপুর-করকনা। পঞ্চায়েত প্রধানের দেখা না পাওয়ায় এবং পঞ্চায়েত ভবনের কাছে চোলাইয়ের বাটি চলা নিয়ে অভিযোগও করেন গ্রামবাসীরা। এ বার প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন পঞ্চায়েতের সদস্যেরাও।

Advertisement

শুক্রবার পঞ্চায়েতের আট তৃণমূল সদস্য প্রধান ফাজিলা বেগমের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সমিতির সভাধিপতির কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেন। তাঁদের মধ্যে পারুলবালা বাগদি, পম্পা রুইদাস, অঞ্জু মনোয়ারা বেগমদের অভিযোগ, প্রধানের অনুপস্থিতি সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহ জাগাচ্ছে। প্রধান না আসায় গ্রামসভাও করা যায়নি বলে তাঁদের দাবি। প্রধান সরাসরি কথা বলতে চাননি। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হতে হচ্ছে।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু এ ব্যাপারে দলের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।

এ দিন চোলাইয়ের বিষক্রিয়ায় মৃতদের দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন জানান, বিপর্যয় ও ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণের ১২ লক্ষ টাকা দুর্গাপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ জানুয়ারি মাটি উৎসবের উদ্বোধন করতে বর্ধমানে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই ওই টাকা মৃতের পরিজনদের কাছে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

তবে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের দাবি, গলসির রামগোপালপুর-করকনা গ্রামের ওই ঘটনায় প্রথম দফায় ছ’জনের মৃত্যু হলেও পাঁচ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে। এক জনের ময়না-তদন্ত না হওয়ায় আইনি জটিলতায় এখনই ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এর সঙ্গেই ঘটনার পরের দিন আরও যে দু’জন মারা গিয়েছিলেন তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রাক্তন সাংসদ সিপিএমের সইদুল হক বলেন, “আমরা প্রত্যেককে সাহায্য দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” গলসির তৃণমূল বিধায়ক অলোক মাঝিও বলেন, “মানবিক কারণে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। ওই পরিবারের বিষয়টিও প্রশাসন ঠিক দেখবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন