ঝড়বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল তোরণ, সুনসান মণ্ডপ

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সে ভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় ভালই ভিড় ছিল মণ্ডপগুলিতে। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে দুর্যোগ শুরু হয়। বৃষ্টি, সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার জেরে বিপাকে পড়েছেন অনেক পুজো উদ্যোক্তাই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০০:২৬
Share:

গুসকরায় ভাঙা তোরণ। নিজস্ব চিত্র

সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে লোক কম। ফাঁকা মণ্ডপ। জল জমেছে মণ্ডপের আশপাশে। অনেক জায়গায় ভেঙে পড়েছে পুজো উপলক্ষে তোরণও। বৃষ্টির জেরে কালীপুজোয় এমনই ছবি জেলার নানা জায়গায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সে ভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় ভালই ভিড় ছিল মণ্ডপগুলিতে। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে দুর্যোগ শুরু হয়। বৃষ্টি, সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার জেরে বিপাকে পড়েছেন অনেক পুজো উদ্যোক্তাই। যাঁরা নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রেখেছেন, তাঁরা বেশি বিপাকে পড়েছেন। উৎসবের মরসুমে বৃষ্টির জেরে বিক্রি মার খাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ীরও মাথায় হাত।

গুসকরার বেশ কয়েকটি পুজো উদ্যোক্তাদের তৈরি আলোর তোরণ ভেঙে পড়ে এ দিন সকালে। গুসকরা বারোয়ারিতলার কাছে স্টেশন রোডের উপরে তৈরি একটি ক্লাবের প্রায় ৪০ ফুটের তোরণ হুড়মুড় করে পড়ে যায়। অল্পের জন্য রেহাই পান পথচারীরা। বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ওই রাস্তায়। আউশগ্রাম যাওয়ার রাস্তায় নির্মিত শহরের আর একটি ক্লাবের তোরণও ভেঙে পড়ে। ওই রাস্তা দিয়েও কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল। ভাতারের দাউড়াডাঙায় একটি পুজোর আলোর গেটও ভেঙে পড়ে। জেলা জুড়ে বহু পুজো মণ্ডপই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির জেরে শর্টসার্কিট হওয়ার আশঙ্কায় বেশ কিছু পুজো উদ্যোক্তা আলোও বন্ধ রেখেছেন।

Advertisement

এ দিন বর্ধমান শহরেও সকাল থেকে রাস্তাঘাট ছিল সুনসান। মণ্ডপগুলিও ফাঁকা। সামান্য কিছু দর্শনার্থী বেরিয়েছিলেন ছাতা মাথায়। কালনায় কৃষ্ণদেবপুরে মণ্ডপ চত্বরে জল জমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। শুক্রবার রাতে যাত্রার আসর বসার কথা ছিল। কিন্তু মাঠে জল জমে যাওয়ায় কপালে ভাঁজ পুজো কমিটির কর্তাদের।

কাটোয়ার মাধবীতলায় বৃষ্টির জেরে নর্দমার জল উপচে জমেছে গলিতে। পঞ্চবটীপাড়া, জামাইপাড়ার কিছু অংশেও বিক্ষিপ্ত ভাবে জল জমেছে। বিভিন্ন পুজো কমিটি এ দিন দুপুরে পঙ্‌ক্তিভোজের আয়োজন করে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে অন্য বছরের তুলনায় সেগুলিতেও ভিড় ছিল কম। খেপাকালীমাতা পুজো কমিটি অন্য বছর থানা রোডে পঙ্‌ক্তিভোজের আয়োজন করে। বৃষ্টির জন্য এ বার লেনিন সরণির একটি লজে খাওয়ানোর ব্যবস্থা হয়। ওই পুজো কমিটির সহ-সভাপতি অশোক সরকার বলেন, ‘‘অন্য বছর যেখানে হাজার দশেক ভক্ত প্রসাদ নেন, এ বার সেখানে এসেছিলেন হাজার ছয়েক।’’

ভাইফোঁটার আগের দিন হলেও বাজার সে ভাবে বসেনি অনেক জায়গায়। মিষ্টির দোকানগুলিতেও অন্য বারের মতো ভিড় ছিল না। কালনার মিষ্টি বিক্রেতা রণজিৎ মোদক বলেন, ‘‘ভাইফোঁটার আগের দিন দুপুরে অর্ধেক মিষ্টি বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু এ বার ক্রেতারই দেখা নেই।’’ পসরা সাজিয়ে বসতে না পারায় মুখ ভার অস্থায়ী বাজি বিক্রেতাদেরও। শেষ পর্বের রোজগার মার খেল, আক্ষেপ তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন