CPIM Brigade Rally

মঞ্চে স্মৃতিচারণ মীনাক্ষীর, উত্তরাধিকারে তৃপ্ত মা-বাবা

সত্তরের দশক থেকে মীনাক্ষীর বাবা সাগর সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে কৃষকসভার রাজ্য কমিটির সদস্য। দলের ডাকে হওয়া ব্রিগেডে প্রতি বারই এসেছেন।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৩৩
Share:

মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মা ও বাবা। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে। ছবি: পাপন চৌধুরী।

Advertisement

মেয়েটি তখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্মৃতির সরণি ধরে হাঁটছেন। জানাচ্ছেন, ছোটবেলায় তাঁর ব্রিগেডে আসার কথা। সেই মেয়েই, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ছিলেন ডিওয়াইএফের ডাকে হওয়া রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশের অন্যতম বক্তা। আর সেই বক্তৃতা শুনতে-শুনতে যেন ‘এ বারের ব্রিগেডটা অন্য রকম ছিল’, মনে হল মীনাক্ষীর বাবা-মা, পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির চলবলপুরের মুখোপাধ্যায় দম্পতির। তাঁরা গর্বিত, ‘যোগ্য’ উত্তরাধিকারের আনন্দে।

সত্তরের দশক থেকে মীনাক্ষীর বাবা সাগর সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে কৃষকসভার রাজ্য কমিটির সদস্য। দলের ডাকে হওয়া ব্রিগেডে প্রতি বারই এসেছেন। এসেছেন, দলের সহকর্মীদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে। এই বারেও তার অন্যথা হয়নি। এ দিন তাঁর সঙ্গেই মিছিলে হাঁটছিলেন মীনাক্ষী মা, পারুল।

Advertisement

এই বারের ব্রিগেডটা অন্য বারের তুলনায় কিছুটা যেন আলাদা ছিল মুখোপাধ্যায় দম্পতির। কিছুটা ভাঙলেন সাগর। বলেন, “খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার আদায়ের মঞ্চ ব্রিগেড। এই বার যেন কিছুটা ব্যক্তিগত আত্মতৃপ্তিও যুক্ত হয়েছে। একটাই ভাল লাগা, মেয়েকে যোগ্য উত্তরাধিকারী হিসাবে তৈরি করতে পেরেছি।”

মীনাক্ষী তখনই মঞ্চ থেকে জানাচ্ছিলেন, ছোট থেকে বাবার হাত ধরে ব্রিগেডে আসার কথা। সেই কথারই রেশ সাগরের গলাতেও। জানালেন, ২০০৮-এর ব্রিগেডে সংগঠনের সাধারণ কর্মী হিসাবেই মেয়েকে এনেছিলেন কলকাতায়। তবে মেয়ে মীনাক্ষীর চোখ দিয়ে ব্রিগেডকে যেন ‘আরও বড়’ করে দেখতে চাইলেন সাগরের স্ত্রী পারুল। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী পারুল বলেন, “আমার মেয়ে শুধু একা নয়। বাংলার লাখ লাখ মীনাক্ষী রবিবারের ব্রিগেড ভরিয়ে তুলেছে।”

সাগর ও পারুল তবে মানছেন, মেয়ের বক্তৃতা শোনার একটা বাড়তি উৎসাহ ছিলই। আর তাই, কাকভোরে আসানসোল স্টেশনে এসে, ট্রেন ধরে সহকর্মীদের সঙ্গে হাওড়া পৌঁছেছিলেন। সেখান থেকে মিছিলে হেঁটে পৌঁছেছেন ব্রিগেডে।

কেমন লাগল মেয়ের বক্তৃতা? সাগরের বক্তব্য, “গত ৫০ দিন ধরে সংগঠনের কর্মসূচিতে রাজ্যের নানা প্রান্তে বক্তৃতা করেছে মেয়ে। ওই কথাগুলিতেই কয়েক লক্ষ মানুষের সামনে নতুন মাত্রা যোগ হল যেন।” পারুলের প্রতিক্রিয়া, “মেয়ের বক্তৃতার মাঝে-মাঝে এ দিনের সভায় উপস্থিত জনতার হাততালি আর উৎসাহের গর্জন শুনে মনে হয়েছে মানুষ অধিকার আদায়ের নেতৃত্বকে খুঁজে পেয়েছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন