পড়ে রয়েছে ভাঙা চেয়ার।নিজস্ব চিত্র
বিধায়ক পার্টি অফিসে থাকাকালীনই তা ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ উঠল কেতুগ্রামের কান্দরায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ কান্দরা বাসস্ট্যান্ডের কাছে তৃণমূলের ওই পার্টি অফিসে ঘটনাটি ঘটে। জখম হন তিন জন। দলের অংশের দাবি, বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনেরাই ওই হামলায় যুক্ত। যদিও বিধায়ক নিজে তা মানেননি। বরং পুলিশের মদতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন আমগড়িয়ায় তৃণমূলের একটি কর্মী বৈঠক থেকে ট্রাক্টরে করে ফিরছিলেন ২০-২৫ জন। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা কৃপাসিন্ধু খুনে অভিযুক্ত হারা শেখের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ওই হামলা হয়। পার্টি অফিসের একতলায় দাঁড়িয়েছিলেন কেতুগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহের শেখের গাড়ির চালক কুতুবুদ্দিন শেখ। তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত হন আরও দু’জন মিঠু শেখ ও মিরজুমান শেখ। বিধায়ক অবশ্য পার্টি অফিসের দোতলায় ছিলেন। তাঁর কোনও আঘাত লাগেনি।
শেখ সাহানেওয়াজের অভিযোগ, কেতুগ্রাম থানায় নতুন আইসি আবু সেলিম যোগ দেওয়ার পর থেকেই সিপিএমের দুষ্কৃতী তাণ্ডব বেড়েছে। আইনির মদতেই লোকজন সংগঠিত হচ্ছে বলেও তাঁর দাবি। এলাকায় সন্ত্রাস চলছ, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি। আইসির যদিও দাবি, ‘‘মদতের অভিযোগ মিথ্যা। পুলিশ পুলিশের কাজ করছে।’’ বিধায়ক সাত জনের নামে থানায় মারধরের অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ঘর লন্ডভন্ড। টেবিল-চেয়ার ভাঙা পড়ে রয়েছে। আহত কর্মীদের শুয়ে কাতরাতে দেখা যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির দাবি, ট্রাক্টরে করে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ সাউদ মান্নান অনুগামীরা ফিরছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কুতুবের বচসা বাধে। ভাঙচুর চলে। পরে বিডিও-কে খবর দেওয়া হলে পুলিশকে জানান তিনি। সাউদের অবশ্য দাবি, ওই পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে ফেরার সময় কুতুবের দলবল তাঁদের উপর হামলা করে। প্রতিরোধ করতে গেলে বচসা বাধে। ওই মিছিল থেকে ফেরার পথে সুলতানপুরের কিছু লোকজনকে ফুটিসাঁকোর কাছে আটকে রাখা হয় বলেও তাঁর দাবি। যদিও আটকে রাখার অভিযোগ মানতে চাননি জাহের শেখ।