Traffic

রেলগেটে আটকালেই রোজ আধ ঘণ্টা নষ্ট

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব রেলের কাটোয়া-ব্যান্ডেল শাখার এই স্টেশনের উপর দিয়ে প্রতিদিন ২৬ জোড়া লোকাল ও ১৩টি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২০ ০২:০৪
Share:

কাটোয়া রেলগেটের কাছে নিত্য যানজট। নিজস্ব চিত্র

ভোট আসে, যায়। উড়ালপুল হয় না।

Advertisement

এ বারও পুরভোটের কথা উঠতেই উড়ালপুল না থাকা, তার জেরে নিত্য যানজটের অভিযোগ তুলেছেন কাটোয়ার বাসিন্দারা। রেলগেট লাগোয়া এলাকায় উড়ালপুলের দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। সবারই দাবি, দিনে দিনে সমস্যা বাড়ছে ওই এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব রেলের কাটোয়া-ব্যান্ডেল শাখার এই স্টেশনের উপর দিয়ে প্রতিদিন ২৬ জোড়া লোকাল ও ১৩টি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। স্বভাবতই ট্রেন চলাচলের সময়ে রেলগেট বন্ধ করতে হয়। এক বার গেট বন্ধ হলেই মুহুর্তের মধ্যে শ’য়ে শ’য়ে দাঁড়িয়ে পড়ে সাইকেল, মোটরবাইক থেকে শুরু করে রিকশা ও ভারী যানবাহন। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে ‘রেফার’ করা অ্যাম্বুল্যান্সও আটকে পড়ে ওই রাস্তায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরীক্ষার্থী, চাকুরিজীবীদের প্রতিদিনই হাতে বেশি সময় নিয়ে বার হতে হয়। কারণ, এক বার গেট পড়লেই আধ ঘণ্টার যানজট। আবার সঙ্কটজনক রোগী নিয়েও গেট খোলার অপেক্ষা করতে হয়। এতে বিপদের সম্ভাবনা বাড়ে বলেও তাঁদের দাবি।

Advertisement

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই আন্দোলন হয়। কিন্তু স্থায়ী সমাধান মেলে না। কয়েকবছর আগে লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কাটোয়া এসেও উড়ালপুলের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ ভাবে প্রকল্প করবে। মোট খরচের অর্ধেক টাকা কেন্দ্র ও অর্ধেক রাজ্য সরকার দেবে। কিন্তু তা নিয়েও কোনও পদক্ষেপ হয়নি।

শহরের প্রায় ৯৫ হাজার বাসিন্দা পাশাপাশি, প্রতিদিনই কাটোয়ায় মহকুমার বিভিন্ন গ্রাম ও লাগোয়া জেলাগুলি থেকে বহু মানুষ যাতায়াত করেন এ পথে। ফলে ওই এলাকায় জনসমাগম লেগেই থাকে। এক বার গেট বন্ধ হলে বিপাকে পড়েন সকলেই। বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা অজয় সাহা বলেন, ‘‘আমার ছেলে কাটোয়া কাশীরামদাস বিদ্যায়তনের ছাত্র। প্রায় দিনই স্কুলে যাওয়া আসার সময়ে রেলগেটের জটে আটকে পড়তে হয়। সময় মতো স্কুলে যেতে পারে না। সামনে পুরভোট আসছে। উড়ালপুলের দাবি জানাচ্ছি।’’ এলাকাবাসীর একটা বড় অংশের বক্তব্য, ‘‘প্রতিবারই ভোট এলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিতে উড়ালপুলের গড়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু এত দিনেও কাজ হল না।’’ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরাও বলেন, ‘‘প্রায় দিন মরণাপন্ন রোগীদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে রেলগেটের যানজটে আটকে থাকতে হয়। গ্রাম থেকে রোগী নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আসতে গেলেও একই অবস্থা হয়। উড়ালপুল খুবই জরুরি।’’

কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উড়ালপুল যাতে হয় সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। রাজ্য সরকার অনেক আগেই সর রকম সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। রেলও তা স্বীকারও করেছে। কিন্তু রেলের উদাসীনতার জন্যই উড়ালপুল হচ্ছে না।’’

পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সমস্ত রেলগেটই ধাপে ধাপে বন্ধ করা হবে। যেখানে আন্ডারপাস প্রয়োজুন সেখানে তাই হবে। যেখানে উড়ালপুল প্রয়োজন সেটাই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন