সাবস্টেশন রাখার দাবিতে অবরোধ

সগড়ভাঙার মাঝের মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ডিপিএলের একটি সাবস্টেশন রয়েছে। বিদ্যুতের লাইনের কোনও গণ্ডগোল হলে সেখান থেকে কর্মীরা গিয়ে দ্রুত সারানোর ব্যবস্থা করতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৪০
Share:

সগড়ভাঙায় তখন চলছে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

বিদ্যুতের সাবস্টেশন তুলে দেওয়ার ভাবনা-চিন্তা চলছে, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার মাঝের মোড় এলাকায় জেপি অ্যাভিনিউ অবরোধ করলেন এক দল বাসিন্দা। অবরোধে নেতৃত্ব দেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল চট্টোপাধ্যায়। অবরোধের ফলে যানজট হয়। সমস্যা সমাধানের দাবি জানাতে গিয়ে যানজট তৈরি করায় কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীদের অনেকে। মেয়র দিলীপ অগস্তি গিয়ে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

Advertisement

সগড়ভাঙার মাঝের মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ডিপিএলের একটি সাবস্টেশন রয়েছে। বিদ্যুতের লাইনের কোনও গণ্ডগোল হলে সেখান থেকে কর্মীরা গিয়ে দ্রুত সারানোর ব্যবস্থা করতেন। ফলে, আরআইপি শিল্পতালুক, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা উপকৃত হতেন। বর্তমানে ডিপিএল ভাগ হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে‌র দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সেটি আর রাখতে চায় না। তারই প্রতিবাদে এলাকার বাসিন্দারা এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ কাউন্সিলর সুনীলবাবুর নেতৃত্বে জেপি অ্যাভিনিউ অবরোধ করেন। ছিলের প্রাক্তন কাউন্সিলর শেফালি চট্টোপাধ্যায়ও। সুনীলবাবুর অভিযোগ, ‘‘মেয়র, কাউন্সিলরকে কিছু না জানিয়ে তলায়-তলায় বিদ্যুতের সাবস্টেশন সরিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জেনেছি। কিছুতেই বাসিন্দারা তা হতে দেবেন না। তা ছাড়া, এখানে একটি বিল জমা দেওয়ার কেন্দ্র চালু করার দাবিও জানিয়েছেন বাসিন্দারা।’’

অবরোধের জেরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের মুচিপাড়া থেকে দুর্গাপুর স্টেশন, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে যানজটে নাকাল হন কয়েকশো মানুষ। দলের তরফে বন্‌ধ, অবরোধের রাজনীতির বিরোধিতা করা সত্ত্বেও এই কর্মসূচি কেন? সুনীলবাবু বলেন, ‘‘দলীয় কোনও বিষয় নয়, সাধারণ মানুষের দাবি নিয়ে রাস্তা অবরোধে শামিল হয়েছিলাম। যাঁরা সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’’

Advertisement

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে যান মেয়র। তিনি সুনীলবাবু-সহ অবরোধকারীদের জানান, এ ভাবে মানুষকে সমস্যায় ফেলে স্থানীয় সমস্যার সমাধান হবে না। তাঁরা যেন বিষয়টি নিয়ে পুরসভায় তাঁর কাছে যান। মেয়র বলেন, ‘‘বিদ্যুতের অফিসটি উঠে গেলে এলাকাবাসী সমস্যায় পড়বেন। তা ছাড়া, এখানে বিল জমা দেওয়ার কেন্দ্র চালু করার দাবিও জানিয়েছেন বাসিন্দারা। আমি ওঁদের পুরসভায় যেতে বলেছি। বিষয়টি পুরসভার না হলেও সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলব।’’ মেয়রের আশ্বাস পাওয়ার পরেই অবরোধ উঠে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন