মন্দিরে মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে সতীপীঠ অট্টহাস-এর অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিলেন তথ্য, সংস্কৃতি ও পর্যটন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। বীরভূমের সতীপীঠগুলোর মতো বর্ধমানের সতীপীঠগুলোকে কেন্দ্র করেও পর্যটনকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। শুক্রবার কেতুগ্রামের অট্টহাস সতীপীঠ পরিদর্শন করে সে কথা জানান এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল।
দিন পনেরো আগে শিবমূর্তি উন্মোচনে এসেছিলেন অনুব্রত। তখনই কেতুগ্রামের নিরোল পঞ্চায়েতের অট্টহাস সতীপীঠকে কেন্দ্র করে পর্যটনকেন্দ্র করার দাবি জানান স্থানীয়েরা। তখনই আশ্বাস দিয়েছিলেন অনুব্রত। সেই মতোই ইন্দ্রনীল সেনকে নিয়ে এ দিন অট্টহাসে আসেন অনুব্রত। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ, মহকুমাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, বিডিও অর্ণব সাহা।
রামজীবনপুর থেকে কাটোয়া, পঁচিশ কিলোমিটার বেহাল রাস্তা সংস্কারের সঙ্গেই অট্টহাস মন্দিরে ঢোকার উপযোগী নিরোল থেকে কেতুগ্রাম পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দেন অনুব্রত। এই রাস্তা এত দিন বেহাল থাকায় কাটোয়া থেকে দর্শনার্থীদের মন্দিরে আসতে সমস্যা হত। এ ছাড়াও আট বিঘা জায়গায় মন্দিরের পাশে ১৮ বিঘা জঙ্গল রয়েছে। প্রাচীর না থাকায় রাতে অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে মন্দিরের পরিবেশ নষ্ট হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম দাস, সন্তোষ দাসদের। মন্দিরে পাঁচিল দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে মন্দিরে ঢোকার আগে নিরোলে প্রবেশপথ তৈরি হবে বলেও জানান তিনি। মন্দিরের ভেতরে দেবীকুণ্ড নামের পুকুরটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতিও দেন ইন্দ্রনীল।
অট্টহাস সতীপীঠ উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক রামকমল ঘোষ বলেন, ‘‘দোল পূর্ণিমায় মন্দিরে লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভিড় হয়। তা ছাড়া বছরভর দর্শনার্থীর ভিড় থাকে। পুকুর, পাঁচিল সংস্কারের জন্য আগেও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। এত দিনে সেই সমস্যা মিটতে চলেছে।’’