Asansol

আঁকানো হল ছবি, তল্লাশি ঝাড়খণ্ডেও

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের এক জনের মাথায় হেলমেট ছিল। অন্য জন মুখঢাকা টুপি পরেছিল। ফলে, তাদের মুখ পরিষ্কার দেখা যায়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৫০
Share:

হোটেলে তদন্তকরীরা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

হোটেল মালিক খুনের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের রবিবার পর্যন্তও হদিস পায়নি পুলিশ। তবে এ দিনও তদন্তের কাজে পুলিশের একাধিক দল বার কয়েক হোটেলে এসে কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের দেওয়া বর্ণনা শুনে দুষ্কৃতীদের সম্ভাব্য ছবি আঁকানো হয়েছে। তা দিয়েই স্থানীয় ভাবে তদন্ত করার পাশাপাশি, ঝাড়খণ্ড পুলিশের সাহায্যে সেখানেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে আসানসোলের ভগৎসিংহ মোড় লাগোয়া এলাকায় নিজেরই হোটেলের রিসেপশন কাউন্টারের সামনে শোফায় বসে দু’জনের সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করছিলেন অরবিন্দ ভগৎ (৬৪)। সে সময় দু’জন দুষ্কৃতী হোটেলে ঢুকে রিভলভার বার করে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে চম্পট দেয়। অরবিন্দকে প্রথমে আসানসোলের দু’টি নার্সিংহোমে ও পরে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। এর পর থেকেই দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশি তল্লাশি শুরু হয়েছে। তদন্তের কাজে পুলিশকে সাহায্য করতে শনিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতার সিআইডি-র দল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোটেলের রক্ষী ও ম্যানেজার-সহ অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান শুনে সিআইডি-র বিশেষজ্ঞেরা দুষ্কৃতীদের ছবি আঁকিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের এক জনের মাথায় হেলমেট ছিল। অন্য জন মুখঢাকা টুপি পরেছিল। ফলে, তাদের মুখ পরিষ্কার দেখা যায়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এই অবস্থায় পুলিশের তরফে আঁকানো ছবি তদন্তের কাজে কতটা সহায়ক হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, দুষ্কৃতীদের চেহারার বর্ণনা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে শুনে যেটুকু ছবি আঁকানো হয়েছে, তা কিছুটা সাহায্য করবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুষ্কৃতীরা সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে পালিয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত। এ ছাড়া, খুনের ধরনেও পেশাদারিত্ব রয়েছে। তাই দুষ্কৃতীদের খোঁজ পেতে এখন ঝাড়খণ্ড পুলিশের সাহায্যে সে রাজ্যের পেশাদার খুনিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে, স্থানীয় ভাবে কোনও সংযোগ আছে কি না, সে দিকেও নজর রয়েছে পুলিশের।

Advertisement

এ দিকে, নিহত পরিবারের সঙ্গে রবিবার আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। খুনের ঘটনার পর থেকেই কার্যত মুখে কুলুপ দিয়েছেন অরবিন্দের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন