নম্বরহীন একটি গাড়ি আটকে কাগজপত্র চাওয়ায় পুলিশকর্মীদের নিগ্রহের অভিযোগ উঠল আরোহীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোলে অভিযুক্তেরা ঘটনার পরে পালিয়ে যায়। আসানসোল উত্তর থানার এক এএসআই এবং কয়েক জন সিভিক ভলান্টিয়ার তাদের হাতে নিগৃহীত হন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে আসানসোলের দোমহানি রেল কলোনির বার্মাসেল এলাকায় গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করছিলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। তখনই নম্বরহীন একটি গাড়ি সেই রাস্তা ধরে যাচ্ছিল। পুলিশ গাড়িটি আটকায়। চালককে গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। কিন্তু গাড়ির চালক ও আরোহী কয়েকজন যুবক কাগজপত্র দেখাতে অস্বীকার করে। গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার দাবিও জানায়। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র না দেখানো পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় পুলিশ। এর পরেই ওই যুবকেরা ও চালক কর্তব্যরত পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের ধাক্কাধাক্কি করে বলে অভিযোগ। ওই পুলিশকর্মীদের আরও অভিযোগ, সেই সময়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় এক তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে। তিনিও পুলিশকে নিগ্রহের দুষ্কৃতীদের মদত দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের বড় বাহিনী। কিন্তু তত ক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। এসিপি (সেন্ট্রাল) বরুণ বৈদ্য জানান, একটি অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
ওই কাউন্সিলরের ছেলে অবশ্য দাবি করেন, ঘটনার সময়ে তিনি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। গণ্ডগোল দেখে তিনি ঝামেলা বন্ধ করতে গিয়েছিলেন। তিনিই পুলিশকর্মীদের দুষ্কৃতীদের হাত থেকে উদ্ধার করেন বলে দাবি করেন। তাঁর নামে থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি। তবে তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনের বক্তব্য, ‘‘দল এই ধরনের আচরণ বরদাস্ত করে না। থানায় অভিযোগ হলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’’