বাগানে পড়ে বোমা, নিষ্ক্রিয় করল সেনা

বাঁশবাগানের মধ্যে বিস্ফোরকের মতো দেখতে একটি জিনিস পড়ে রয়েছে। তা দেখে প্রাথমিক ভাবে বিপত্তি ঘটতে পারে বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। কিন্তু পরে জানা যায় তা নয়। পুলিশের দাবি, তা ‘অ্যালুমিনেশন বম্ব’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৭ ১৩:২০
Share:

বাঁশবাগানে: এই বোমাটিই পড়ে ছিল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

বাঁশবাগানের মধ্যে বিস্ফোরকের মতো দেখতে একটি জিনিস পড়ে রয়েছে। তা দেখে প্রাথমিক ভাবে বিপত্তি ঘটতে পারে বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। কিন্তু পরে জানা যায় তা নয়। পুলিশের দাবি, তা ‘অ্যালুমিনেশন বম্ব’। পরে সেনাবাহিনীর আধিকারিকেরা জিনিসটি নিষ্ক্রিয় করেন। শনিবার পূর্বস্থলী ২-র জামালপুরের ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, গত ১০ মে স্থানীয় একটি মন্দির চত্বর থেকে প্রায় আটশো মিটার দূরে একটি বাঁশবাগানের মধ্যে বোমাটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত তা বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। ওই দিনই বোমাটি পরীক্ষার জন্য ডাকা হয় দুর্গাপুরে সিআইডি-র বম্ব ডিসপোসাল টিমের সদস্যদের। তাঁরা পরীক্ষা করে জানান, জিনিসটির মধ্যে বিস্ফোরক নেই। তবে সেদিনই তাঁরা জানিয়ে দেন, বোমাটি নিষ্ক্রিয় করবেন সেনাকর্মীরা।

পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় পানাগড়ের সেনাছাউনির সঙ্গে। তার পরে শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পানাগড় থেকে কর্নেল অনির্বাণ দাস-সহ চার সদস্যের বিশেষজ্ঞদল জামালপুরে এসে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। কালনার এসডিপিও প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘ওটি অ্যালুমিনেশন বম্ব। তার মধ্যে বিস্ফোরক ছিল না। মর্টার ছাড়া তা ছোড়াও যায় না।’’

Advertisement

পুলিশের দাবি, বোমাটি সাধারণত ব্যবহার করেন সেনাকর্মীরা। এটি ফাটলে অন্ধকারে আলো তৈরি হয়। এর মধ্যে থাকে ফসফরাস। পুলিশের দাবি, অস্ত্র কারখানা থেকে সরাসরি এই ধরনের বোমা সেনাবাহিনীর হাতে যায়। কোনও কারণে তা হারিয়ে গেলে সেনাবাহিনীকে লিখিত ভাবে জানাতে হয়।

ফলে বোমাটি কী ভাবে জামালপুরে এল, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান প্রিয়ব্রতবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন