দুর্গাপুরের দেওয়ালে পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
লম্বা যুবকের পরনে ফুলহাতা শার্ট। পায়ে চপ্পল। ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে পাওয়া গিয়েছিল ছবিটা। কিন্তু সেই যুবকের হদিস পেতে কালঘাম ছুটেছে দুর্গাপুরের পুলিশের। আশপাশের সব থানা, এমনকী লাগোয়া জেলাতেও খবর দেওয়া হয়েছে। তবু খোঁজ মেলেনি অভিযুক্ত এই মোটরবাইক চোরের। এ বার তার হদিস পেতে বাজারে ছবি-সহ পোস্টার দিল পুলিশ। কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘যদি কারও নজরে পড়ে তিনি পুলিশকে জানাতে পারবেন। পাশাপাশি সতর্কও হতে পারবেন।’’
দুর্গাপুরে মোটরবাইক চুরির ঘটনা লেগেই থাকে। মাঝে-মাঝেই পুলিশ এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কিছু লোকজনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তার পরেও চুরি থামে না। দুর্গাপুর শহরে তিনটি থানা এলাকায় মাসে গড়ে ১০টি করে মোটরবাইক চুরি যায়। অধিকাংশেরই কিনারা করে পুলিশ। তবু দু’একটি মোটরবাইকের খোঁজ মেলে না।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুরির অভিযোগ পেলেই প্রথমে খাতা থেকে পুরনো মোটরবাইক চোরদের নাম-ধাম বের করে তল্লাশি, জেরা শুরু করা হয়। সেখান থেকে কোনও না কোনও সূত্র মিলেই যায়। কিন্তু এই দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত কেউ-কেউ রয়েছে, যাদের এখনও নাগাল পাওয়া যায়নি বলে মনে করছে পুলিশ। মাসখানেক আগে বেনাচিতির শালবাগান এলাকা থেকে একটি মোটরবাইক চুরির ঘটনা সিসি ক্যামেরায় উঠে আসার পরে সেই ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে। ফুটেজটি জোগাড় করে পুলিশ দেখেছে, যে যুবক মোটরবাইকটি চুরি করেছে, তার চেহারার সঙ্গে পুরনো কোনও অভিযুক্তের মিল নেই। ছবি দেখে পুরনো অভিযুক্তেরাও কেউ তাকে চিনতে পারেনি।
পুলিশ ওই যুবকের ছবি জেলায় আশপাশের সব থানা ও বীরভূমের বেশ কিছু থানায় পাঠালেও এখনও ফল হয়নি। সম্প্রতি বেনাচিতি বাজারে নানা জায়গায় যুবকের ছবি-সহ রঙিন পোস্টার সাঁটিয়েছে পুলিশ। কোনও সূত্র পেলে যোগাযোগের জন্য এ-জোন ফাঁড়ির আইসি-র মোবাইল নম্বরও দেওয়া হয়েছে তাতে।
মোটরবাইক আরোহীরা জানান, পোস্টার দেখে তাঁর সতর্ক হয়ে যাচ্ছেন। তবে কারও-কারও টিপ্পনী, ‘‘এক মোটরবাইক চোর ধরতে পুলিশ হিমসিম হলে বড় অপরাধীর ক্ষেত্রে কী হবে!’’