বিদায় ২০১৭, স্বাগত ২০১৮

অশান্তি রুখতে টহল পুলিশের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:২৪
Share:

আনন্দে: নতুন বছরের মেজাজে। দুর্গাপুরে। ছবি: বিকাশ মশান

পুরনো বছর বিদায়, স্বাগত নতুন বছর। — এই উপলক্ষে ফি বছরের মতো এ বারেও মেতে উঠল দুর্গাপুর-সহ শিল্পাঞ্চলের নানা প্রান্তের মানুষ। তার উপরে রবিবার হওয়ায় ছুটির মেজাজও ছিল দিনভর। কোনও রকম বিপত্তি এড়াতে নিরাপত্তার যথেষ্ট বন্দোবস্ত করা হয়েছিল বলে আসানসোল-পুলিশ কমিশনারেটের দাবি।

Advertisement

৩১ ডিসেম্বর বিকেল থেকেই দুর্গাপুরবাসী ভিড়় জমাতে শুরু করেন সিটি সেন্টার-সহ শহরের নানা পার্ক, শপিংমল, রেস্তোঁরাগুলিতে। শহরের নানা এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, রীতিমতো বাজি পুড়িয়ে আলোকসজ্জায় স্বাগত জানানো হচ্ছে নতুন বছরকে। নানা এলাকার যুবক-যুবতীদের অনেকেরই গন্তব্য ছিল, সিনেমা হলও।

শুধু দুর্গাপুর বা আসানসোল শহর নয়, উৎসবে সামিল হয়েছেন শহর লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারাও। তেমনই এক জন কাঁকসার পানাগড়ের বাসিন্দা অজয় মজুমদার। সপরিবার তিনি এসেছিলেন দুর্গাপুরে। তিনি বলেন, ‘‘দুপুরে বাইরে খাওয়াদাওয়া, সিনেমা দেখা, রাতে একটি হোটেলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছি।’’

Advertisement

তবে উৎসবের দিন হলেও ফি বছরই এই সময় দুর্গাপুরে নানা ছোটখাটো গোলমাল দেখা যায়। অভিযোগ ওঠে, মহিলাদের লক্ষ করে কটূক্তি, ইভটিজিংয়েরও। বিষয়টি নিয়ে উৎসবের আনন্দে মজেও ক্ষুব্ধ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রেশমী মুখোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তীরা। তাঁদের কথায়, ‘‘সবাই নিজের মতো করে আনন্দ করতে চায়। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায় এক শ্রেণির মানুষ অভব্য আচরণ করছেন। এটা রোখার দায়িত্ব পুলিশ-প্রশাসনের।’’

তবে কমিশনারেট জানায়, ফি বছরের মতো এ বারও নিরাপত্তার কড়া ব্যবস্থা থাকছে। এক পুলিশ কর্তার দাবি, গত কয়েক বছর কড়া নজরদারির কারণেই ‘ইভটিজিং’য়ের অভিযোগ অনেকটাই কম আসছে। কিন্তু নজরদারি বা নিরাপত্তার ব্যবস্থাটা কী রকম? পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সড়কের পাশের একটি শপিং মল, সৃজনির সামনের রাস্তা, ক্ষুদিরাম সরণি মতো এলাকায় ভিড় বেশি থাকে। বেশ কয়েকটি এলাকায় ভিড় সামলাতে ‘নো-এন্ট্রি’ করা হয়েছে। এই সব এলাকায় সাদা পোশাকে মহিলা পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে দাবি। পাশাপাশি উর্দিধারী পুলিশও থাকছে। রাতভর পুলিশি টহলদারি গাড়িও ঘুরবে নানা এলাকায়, দাবি এক পুলিশকর্তার। প্রকাশ্যে মদ্যপানও করা যাবে না বলে পুলিশের নির্দেশ। এ ছাড়া নজরদারিতে জোর দিতে সিসিটিভিতেও চোখ রাখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়।

কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনী থাকছে। কোথাও কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর মিললে, তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন