Katwa Murder case

খুনে গ্রেফতার হয়নি কেউ, ক্লাব ‘সিল’ করল পুলিশ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে থাকা ওই ক্লাবটি সিল করে দেয় পুলিশ। ক্লাবের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১৭
Share:

তালা পড়েছে ক্লাবে। নিজস্ব চিত্র

ঘটনার দু’দিন পার হয়ে গেলেও কাটোয়ায় যুবক খুনের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিন জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, নানা সূত্র থেকে তদন্ত চালিয়ে খুনের কারণ সম্পর্কে তদন্তকারীরা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন। শীঘ্রই আততায়ীকে গ্রেফতার করা হবে। একটি ক্লাবের দখল নিয়ে গোলমাল চলছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারাও।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে থাকা ওই ক্লাবটি সিল করে দেয় পুলিশ। ক্লাবের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিহত রথীন বিশ্বাসের ময়না-তদন্তও হয় এ দিন। সন্ধ্যা নাগাদ দেহ কাটোয়া শহরের কলেজপাড়ার বাড়িতে আনা হয়। ভিড় করেন পাড়া প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজনেরা।

এ দিন দুপুরে কলেজপাড়ায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় নর্দমার ধারে রক্তের দাগ রয়েছে। লাগোয়া হাজরাপুর কলোনিতেই রয়েছে দ্বিতল ওই ক্লাবটি। ওই পাড়াতেই অন্য প্রান্তে বাড়ি মূল অভিযুক্ত অমিত মণ্ডল ওরফে পাপ্পুর। বড়সড় ওই বাড়ির নীচে কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকেন। ঘটনা নিয়ে তাঁরা মুখ খুলতে নারাজ। দেখা যায়, বাড়ির গ্যারাজে পাপ্পুর নীল রঙের বাইকটি রাখা রয়েছে। দোতলায় ওঠার সদর দরজায় তালা ঝোলানো রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, ঘটনার দিন রাত থেকেই বাড়ির সকলেই বেপাত্তা।

Advertisement

হাজরাপুর কলোনির এক বাসিন্দা হারাধন চট্টোপাধ্যায় এ দিন দাবি করেন, বছর তিনেক আগে রথীনই উদ্যোগী হয়ে ক্লাবটির দোতলা করান। সামনে দুর্গা মণ্ডপটিরও উন্নতি করা হয়। তবে সম্প্রতি ক্লাবের কর্তৃত্ব কার হাতে থাকবে তা নিয়ে এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাড়ারই ছেলে পাপ্পুর সঙ্গে বিরোধ শুরু হয় তাঁর। কার্তিক লড়াইয়ে দু’জনের মধ্যে মারামারি হয়, কয়েকমাস আগে ক্লাবের সামনে বোমাবাজিও হয় বলে জানান তাঁরা। ওই পাড়ার বাসিন্দা তুলসি সাহা, গায়ত্রী সাহাদেরও বক্তব্য, ‘‘রথীনের বিরুদ্ধে অনেক কথা শোনা গেলেও পাড়ায় আমাদের সম্মান দিত। অন্য পক্ষ ক্লাব দখল করতে চাইছিল। বাধা দিতে গিয়েই রথীন খুন হয়ে গেল।’’

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘ওই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে তদন্তে অনেকটাই গতি এসেছে। ক্লাবটি-সহ এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন