বর্ধমান হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি টহলদারি চলবে।
এ বার থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপর নিরাপত্তায় নজরদারি চালাবে জেলা প্রশাসন। বুধবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ও। সেখানেই ঠিক হয়, অতিরিক্ত জেলাশাসকের (স্বাস্থ্য) নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তা, জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে পুলিশের কর্তারা থাকবেন। প্রতি মাসে একটি করে বৈঠক করে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা। এ ছাড়াও হাসপাতাল চত্বরে ২৪ ঘন্টা পুলিশের মোবাইল ভ্যান টহল দেবে বলে জানা গিয়েছে।
জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আমাদের নজরে রয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি আরও ভাল ভাবে দেখার জন্য নজরদারি করা হবে।’’ এমন উদ্যোগের কারণ?
হাসপাতাল সূত্রের দাবি, সম্প্রতি ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্ত দিতে টাকা নেওয়া, হাসপাতালে দালাল, প্রতারক ধরা পড়ার মতো বেশ কয়েকটি ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাসপাতাল। মুখ্যমন্ত্রীর কানেও গিয়েছে কিছু ঘটনা। তাতেই টনক নড়েছে। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা বলেন, ‘‘নিরাপত্তা নিয়ে অনেক ফাঁকফোকর উঠে আসছে। শুধুমাত্র বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে হাসপাতালকে পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়। আমরা চাই, হাসপাতালের ভিতরে থাকা পুলিশ ক্যাম্পটিকে আরও মজবুত করা হোক।’’
হাসপাতালের কর্মী চিকিৎসকদের দাবি, শুধু রোগীদের প্রতারণা নয় চিকিৎসক নিগ্রহ, রাতের দিকে হাসপাতাল থেকে কলেজ বা হস্টেলে যাওয়ার সময় স্থানীয় যুবকদের হাতে হেনস্থার মতো ঘটনাও হয়। নিরাপত্তা না বাড়ালে কাজ করা মুশকিল। অমিতাভবাবু বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরা থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা হয়। সব সমস্যা আমাদের পক্ষে মেটানো সম্ভব হয় না। সে কারণেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এ বার থেকে প্রতি মাসে একটি করে বৈঠক করে সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে।’’
জেলাশাসকেরও দাবি, ‘‘হাসপাতালে অনেকগুলি বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে রোগী বা তাঁদের পরিজনদের সচেতন করা খুবই প্রয়োজন। এতে অনেক দুষ্কর্ম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কমিটি সেই সব সচেতনতার দিকে জোর দিতে পারবে।’’