ঠেকের খবর দিতে অস্বস্তিতে প্রধানেরা

প্রশাসনের নির্দেশ, এলাকায় চোলাইয়ের ভাটি থাকলে তা চিঠি দিয়ে জানাতে হবে স্থানীয় থানাকে। যদিও প্রধানদের অনেকেই এ নিয়ে অস্বস্তিতে। কেউ বিপদের আশঙ্কা করছেন। নতুন প্রধানদের আবার দাবি, এলাকার খুঁটিনাটি এখনও জানতেই পারেননি তাঁরা।   

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:১৪
Share:

পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে পোস্ত চাষে অনেকটাই রাশ টানতে পেরেছে প্রশাসন। চোলাই রুখতেও তাঁদেরই সাহায্য চাইছে পুলিশ।

Advertisement

প্রশাসনের নির্দেশ, এলাকায় চোলাইয়ের ভাটি থাকলে তা চিঠি দিয়ে জানাতে হবে স্থানীয় থানাকে। যদিও প্রধানদের অনেকেই এ নিয়ে অস্বস্তিতে। কেউ বিপদের আশঙ্কা করছেন। নতুন প্রধানদের আবার দাবি, এলাকার খুঁটিনাটি এখনও জানতেই পারেননি তাঁরা।

শান্তিপুরের বিষমদ কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে সম্প্রতি কালনার পূর্ব সাতগাছিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীও সতর্ক করে গিয়েছিলেন পুলিশ ও আবগারি দফতরকে। পুলিশও টানা ধরপাকড় চালিয়ে বহু ভাটি ভাঙে, গ্রেফতার করা হয় বহু কারবারিদের। তারপরেও কোথাও চোরাগোপ্তা ব্যবসা চলছে কি না, তা জানতে পঞ্চায়েতের সাহায্য চায় প্রশাসন। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব ১৩ ডিসেম্বর এ নিয়ে লিখিত নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশের তরফে বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সাধারণত ভিলেজ পুলিশেরা প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই চিঠি নিচ্ছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বেশির ভাগ প্রধানই চিঠিতে জানিয়েছেন তাঁর এলাকায় কোনও চোলাইয়ের ভাটি নেই।

Advertisement

তবে লিখিত ভাবে জানানোর প্রক্রিয়ায় অনেক প্রধানই ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, সবে পঞ্চায়েতগুলি বোর্ড গঠন করে কাজ শুরু করেছে। অনেক মহিলা প্রধান রয়েছেন যাঁরা আগে তেমন এলাকায় ঘোরেননি। ফলে লুকিয়ে কোনও ভাটি চালানো হচ্ছে কি না তা এখনই তাঁদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। এক পঞ্চায়েত প্রধানের কথায়, ‘‘আমাদের কাছে এটা ফাঁসের মত। লুকিয়ে কেউ যদি কারবার চালিয়ে যায় এবং চোলাই খেয়ে কেউ যদি মারা যায় তাহলে দায় বর্তাবে আমাদের উপর।’’ তাঁর দাবি, প্রতি এলাকাতেই পর্যাপ্ত সিভিক পুলিশ রয়েছে। তাঁদের দিয়েই নজরদারি চালানো যেত। যদিও পুলিশের দাবি, প্রধান শুধু জানাবেন। তার পরে অভিযান চালিয়ে ভাটি ভাঙার দায়িত্ব পুলিশের।

জেলার সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত প্রশাসনের অঙ্গ। জোর করে নয়, নিজেদের ইচ্ছেতেই চোলাই কারবারের প্রতি কড়া নজর রাখবে জেলার পঞ্চায়েতগুলি।’’ এ দিনই বদল হয়েছে জেলার আবগারি সুপারিন্টেন্ডেন্ট। নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন তপনকুমার মাইতি। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক ঘণ্টা হল দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি দেখে নিয়েই মন্তব্য করতে পারব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন