ঘরের নামে টাকা, পোস্টার

গৌরিশঙ্করবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘আমাদের ওয়ার্ডে আর একটি গোষ্ঠী রয়েছে। তারা বেশ কয়েকবছর ধরে নানা ভাবে বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ওরাই পোস্টার মেরেছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০০:০১
Share:

এই সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র

প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়েছে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরে। ‘নাগরিক বৃন্দের’ অভিযোগ বলে ছাপানো পোস্টারে পেশায় শিক্ষক তথা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য ও তাঁর ‘ছায়াসঙ্গী’ বিশু পালিত, শিবানী রাজবংশীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

Advertisement

পোস্টারে লেখা রয়েছে, ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর দুই সঙ্গী গরিব মানুষদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার নাম করে পুরসভায় ভুয়ো দরখাস্ত করান। তার পরে পুরসভার নাম দিয়ে একটি কম্পিউটার প্রিন্টে কিছু নামের তালিকা তৈরি করে পাড়ার বেশ কিছু গরিব মানুষকে দেখিয়ে সরকারি প্রকল্পে বাড়ি করে দেওয়ার নাম করে ৫০ হাজার টাকা করে তোলা হয়। অথচ বাড়ি তৈরির সময়সীমা পার হয়ে গেলেও কেউ বাড়িও পাননি বা টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ। পোস্টারে দাবি জানানো হয়েছে, ‘গরিব মানুষরা আর টাকা ফেলে রাখার মতো ভরসা রাখতে পারছেন না। তাই তাঁদের দাবি, কাটমানির টাকা ফেরত চাই’। এ ছাড়াও নতুন বাড়ি তৈরি করলে, পুকুর ভরাট, সাবমার্শিবল বসানোর জন্যেও ‘কাটমানি’ চাওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

গৌরিশঙ্করবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘আমাদের ওয়ার্ডে আর একটি গোষ্ঠী রয়েছে। তারা বেশ কয়েকবছর ধরে নানা ভাবে বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ওরাই পোস্টার মেরেছে।’’ তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক খোকন দাসেরও দাবি, “সত্যি-মিথ্যা যাচাই করার দরকার নেই। পোস্টার মারতে পারলেই হল! নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ থাকলে থানায় বা প্রশাসনিক দফতরে জানাক।’’

Advertisement

বর্ধমান ২ ব্লকের কুড়মুনেও ‘ভেকধরা বিজেপি’ বলে একটি পোস্টার পড়েছে এ দিন। সেখানে বিজেপির লোকেদের সঙ্গে সিপিএমের লোকদের যোগসাজস কী প্রমাণ করছে, বলে প্রশ্ন করা হচ্ছে। ‘গ্রামবাসীবৃন্দ’ নাম দিয়ে সাদা কাগজে কালো কালিতে লেখা পোস্টারের শেষে ‘ভাবুন, দেখুন’ বলে লেখা রয়েছে। বিজেপির জেলা নেতাদের দাবি, এই সব পোস্টার নিয়ে তাঁরা কিছুই ভাবছেন না। বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক (বর্ধমান সদর) সুনীল গুপ্তের দাবি, “এই সব পোস্টারের কোনও মাথা-মুন্ডু নেই। ব্যক্তিগত কুৎসা না ছড়িয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ করলে, তবেই তা আইনের আওতায় আসবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন