আইটি হাবের তোড়জোড় শুরু

 প্রস্তাবিত আইটি হাবের জন্য বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের (বিডিএ) হাতে থাকা জমি চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। বর্ধমানে আইটি হাব তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। উল্লাস মোড়ের অনাময় হাসপাতালের পিছনে পলাশডাঙায় সম্প্রতি বিডিএ-র হাতে থাকা অধিগৃহীত জমি চিহ্নিত করে এ ব্যাপারে বোর্ড বসানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ০২:০২
Share:

চিহ্নিত হয়েছে জমি। নিজস্ব চিত্র

প্রস্তাবিত আইটি হাবের জন্য বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের (বিডিএ) হাতে থাকা জমি চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। বর্ধমানে আইটি হাব তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। উল্লাস মোড়ের অনাময় হাসপাতালের পিছনে পলাশডাঙায় সম্প্রতি বিডিএ-র হাতে থাকা অধিগৃহীত জমি চিহ্নিত করে এ ব্যাপারে বোর্ড বসানো হয়েছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প) দেবাশিস সেন সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবকে চিঠি দিয়ে জানান, বর্ধমানে আইটি হাব তৈরি করতে ইচ্ছুক সরকার। সে জন্য দফতরের দুই থেকে আড়াই একর জমি প্রয়োজন। জেলাশাসক বলেন, ‘‘বিডিএ-র হাতে বেশ কিছু জমি রয়েছে। তা জানার পরেই বিডিএ-কে জমি চিহ্নিত করতে বলা হয়।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে বাম আমলে উল্লাস মোড়ের কাছে বেশ কয়েক একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। বিডিএ-র হাতে থাকা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া একটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বিডিএ-র ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক (সিইও) প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা জমি চিহ্নিত করে বোর্ড বসিয়েছি। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি দফতরে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশ আসার পরেই জমি ঘেরার কাজ করা হবে।’’

Advertisement

বিডিএ সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ সালে তৎকালীন মন্ত্রী তথা বিডিএ-র চেয়ারম্যান রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় উল্লাসের ধারে অধিগৃহীত জমিতে ‘আইটি হাব’ গড়তে চেয়ে তথ্যপ্রযুক্তি দফতরে চিঠি পাঠান। রবিরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘যত দূর জানি, সরকার আইটি হাব করতে চেয়ে উদ্যোগী হয়েছে। আসানসোলের পরে বর্ধমানে এই হাব করতে চাইছে। সেটি হলে গ্রামীণ বর্ধমানে শিল্পোদ্যগীরা এগিয়ে আসবেন।’’

তবে জমি নিয়ে ধীরেসু্স্থে এগোতে চায় বিডিএ এবং জেলা প্রশাসন। প্রস্তাবিত আইটি হাবের আগের প্লটেই ‘মিষ্টি হাব’ গড়তে উদ্যোগী হয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু জমিদাতাদের বাধায় সেখান থেকে ‘মিষ্টি হাব’ সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যেতে হয়েছে প্রশাসনকে।

বিডিএ সূত্রে জানা যায়, অধিগৃহীত জমির মালিকদের একাংশ জমির দাম নিয়ে খুশি ছিলেন না। তাঁরা ২০০২ সাল থেকেই জমির দাম নেননি। প্রবীরবাবু বলেন, ‘‘জমির ক্ষতিপূরণ বিডিএ-তে রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গিয়েছে, তাই জমি অধিগ্রহণ বেআইনি বলা যাবে না।’’ জেলাশাসকও জানান, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তবে আইটি হাবের জমি নিয়ে চাষিরা যাতে বাধা না দেন, সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে, জানা গিয়েছে প্রশাসনেরই একটি সূত্রে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন