vegetables

হাত পুড়ছে আনাজে, দাম চড়া আলুরও

আনাজের দামও নাগালের বাইরে চলে যেতে বসেছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের বড় অংশের। তাঁরা জানান, প্রায় সব আনাজই কেজি প্রতি দরে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান ও কালনা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৩৩
Share:

অগ্নিমূল্য: বর্ধমানের বাজারে। নিজস্ব চিত্র

সরকারি নির্দেশিকা সত্ত্বেও লাগাম টানা যাচ্ছে না আলুর দামে। উল্টে, লাফিয়ে বাড়ছে দাম। সেই সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে আনাজের মূল্যও। ফলে, হাত পুড়ছে গৃহস্থের।
পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন বাজারে বৃহস্পতিবার জ্যোতি আলু ৩০-৩২ টাকা এবং চন্দ্রমুখী আলু ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। বর্ধমান শহরের স্টেশন বাজার, তেঁতুলতলা বাজার, রানিগঞ্জ বাজার থেকে নীলপুর বা পুলিশ লাইন বাজার, সর্বত্রই একই রকম দাম। কোথাও কোথাও জ্যোতি আলুর দামও সুযোগ বুঝে ৩৫ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অনেক ক্রেতার অভিযোগ।
আনাজের দামও নাগালের বাইরে চলে যেতে বসেছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের বড় অংশের। তাঁরা জানান, প্রায় সব আনাজই কেজি প্রতি দরে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছে। পটল, বেগুন, উচ্ছে ,ঢেঁড়স, গাজর— কেউই কম যাচ্ছে না। খুচরো বাজারে কাঁচা লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা দরে। ক্রেতাদের দাবি, দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। তেঁতুলতলা বাজারের খুচরো বিক্রেতা রতন কুণ্ডু, বিকাশ দাস, কাঞ্চননগরের তুষার কুণ্ডু, পতিতপাবন দত্ত, রথতলা বাজারের মন্মথ দাসদের কথায়, ‘‘দাম বৃদ্ধির ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা, সবাই সমস্যায় পড়ছেন। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হোক।’’
খুচরো ব্যবসায়ীদের দাবি, ৫০ কেজি আলুর বস্তা কিনতে তাঁদেরই প্রায় ১,৩৫০ টাকা পড়ছে। দাম না কমার কারণ হিসেবে জোগান নিয়ে সংশয়কেই দায়ী করছেন আলু ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকদের অনেকে। তাঁদের দাবি, এ বছর ফলন কম হয়েছিল, তাই জেলার সমস্ত হিমঘরেই আলু তুলনামূলক ভাবে কম মজুত হয়েছিল। দেশ জুড়েই আলুর জোগান কম রয়েছে। বর্ধমানের পাইকারি ব্যবসায়ী স্বপন সাহা বলেন, ‘‘হিমঘর থেকে কম আলু বাজারে আসছে। ফলে, অভাব তৈরি হচ্ছে। এটাই দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।’’ জেলার এক হিমঘর মালিক দাবি করেন, ‘‘এখনও মাস দু’য়েক চলার মতো আলু মজুত রয়েছে। কিন্তু নতুন আলু বাজারে আসতে আরও অন্তত চার মাস সময় লাগবে। দাম আরও বাড়তে পারে আঁচ করে ব্যবসায়ীদের অনেকে হিমঘর থেকে এখনই বেশি আলু বার করতে চাইছেন না।’’ আনাজের দাম বৃদ্ধির পিছনে বৃষ্টিতে অনেক আনাজ নষ্ট হয়ে যাওয়া ও ট্রেন বন্ধ থাকায় পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
বর্ধমান চেম্বার অফ কমার্সের কর্তা চন্দ্রবিজয় যাদব বলেন, ‘‘যাঁরা হিমঘরে আলু মজুত রেখেছেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ আলু বাজারজাত করুন।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজারে অভিযান চালানো নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস কর্তাদের।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন