—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পচনশীল ও অপচনশীল, দুই ধরনের বর্জ্য আলাদা পাত্রে জমা করে তা পুরসভার সাফাইকর্মীদের দেওয়ার কথা নাগরিকদের। অভিযোগ, দুর্গাপুর শহরের অনেকেই তা করছেন না। এর ফলে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। পচনশীল বর্জ্য থেকে সার এবং অপচনশীল বর্জ্য থেকে বিশেষ ধরনের তরল জ্বালানি তৈরি করছে সংস্থাটি। সে জন্য পুরসভা বাড়ি-বাড়ি পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করে তা প্রক্রিয়াকরণে পদক্ষেপ করছে। পৃথক ভাবে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য জমা করার জন্য প্রতি বাড়িতে যথাক্রমে সবুজ ও নীল, দুই রঙের ‘বিন’ দেওয়া হয়েছে। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য শহরের ৪৩টি ওয়ার্ড জুড়ে ‘নির্মল বন্ধু’, ‘নির্মল সাথীদের’ নিয়ে দল গড়েছে পুরসভা। এক এক জন নির্মল বন্ধু সকালে ভ্যানে করে গড়ে প্রায় দু’শোটি বাড়ি থেকে দুই ধরনের বর্জ্য সংগ্রহ করেন। বর্জ্য সংগ্রহের পরে তা তাঁরা জমা করেন একটি গাড়িতে। সেই গাড়িতে করে বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হয় শঙ্করপুরের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে। প্রতি ছ’জন নির্মল বন্ধুর কাজকর্ম তদারক করার জন্য রয়েছেন এক জন করে নির্মল সাথী। মূলত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের
প্রশিক্ষণ দিয়ে নির্মল সাথীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নির্মল সাথী এবং নির্মল বন্ধুর অভিযোগ, প্রথম দিকে সব ঠিক থাকলেও ধীরে ধীরে অনেকেই নিয়ম মেনে বর্জ্য রাখছেন না
পৃথক পাত্রে। একটি পাত্রেই সব ধরনের বর্জ্য জমা করা হচ্ছে। সকালে নির্মল বন্ধু ভ্যান নিয়ে এলে সেই বর্জ্য তাঁরা দিয়ে দিচ্ছেন। এক নির্মল বন্ধু সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে বলেন, “বাড়ির মালিকদের একাংশ নিয়ম না মানায় খুবই সমস্যা হচ্ছে। আমাদের ভ্যানেও বড় আকারের সবুজ ও নীল, পৃথক পৃথক বিন রয়েছে। কিন্তু বর্জ্য পৃথক না করায় সব জমা করতে হচ্ছে যে কোনও বিনে।”
অথচ, বিষয়টি নিয়ে অতীতে বার বার প্রচারও চালিয়েছে পুরসভা। এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সহ-প্রশাসক অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “সবার সহযোগিতা ছাড়া পুরো বিষয়টি সুচারু ভাবে করা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে উৎসবের মরসুম শেষে পুরসভা ফের বিষয়টি নিয়ে প্রচার চালাবে।”