বর্ধমান আদালত

ফের বিক্ষোভ, হাজির পুলিশও

মঙ্গলবারও দেওয়ানি আদালতের সিনিয়র ডিভিশন (দ্বিতীয়) বিচারক মন্দাক্রান্তা সাহার এজলাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান বারের কয়েকজন সদস্য। দেওয়ানি আদালতের প্রবীণ আইনজীবীদের মতে, বিচারপ্রার্থীদের হয়রান করে এজলাসের সামনে বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের বিক্ষোভ বিচার ব্যবস্থার উপর অনাস্থা প্রকাশ করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ০২:৪৮
Share:

বিক্ষোভ থামছেই না বর্ধমান আদালতে।

Advertisement

মঙ্গলবারও দেওয়ানি আদালতের সিনিয়র ডিভিশন (দ্বিতীয়) বিচারক মন্দাক্রান্তা সাহার এজলাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান বারের কয়েকজন সদস্য। দেওয়ানি আদালতের প্রবীণ আইনজীবীদের মতে, বিচারপ্রার্থীদের হয়রান করে এজলাসের সামনে বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের বিক্ষোভ বিচার ব্যবস্থার উপর অনাস্থা প্রকাশ করা হচ্ছে। তাঁদের একাংশের কথায়, “এ ভাবে চলতে থাকলে আদালত অবমাননা করা হচ্ছে বলে আমরা প্রথমে জেলা জজের দ্বারস্থ হব। তারপরে হাইকোর্টকে পুরো বিষয়টি জানাব।” যদিও এ দিন মন্দাক্রান্তাদেবী এজলাসে ছিলেন না।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মন্দাক্রান্তাদেবীর এজলাসের সামনে অবস্থান চলাকালীন কাঁদানে গ্যাস নিয়ে ৬ জন পুলিশ কর্মী হাজির হতেই আইনজীবীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা জেলা জজের কাছে গিয়েও ক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে জেলা জজ এজলাস ছেড়ে নেমে পড়েন। তিনি কোর্ট ইন্সপেক্টরকে তলব করে কার নির্দেশে এজলাসের সামনে পুলিশ বসল তা জানতে চান। পুলিশ চলে যাওয়ার পর কোর্ট ইন্সপেক্টরের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান জেলা জজ।

Advertisement

দেওয়ানি আদালতের আইনজীবীদের একাংশের কথায়, এ ভাবে এজলাস আটকে রেখে বিক্ষোভ আদালত অবমাননারই সামিল। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই আইনজীবীরা বলেন, “মুষ্টিমেয় কয়েকজন আইনজীবী বছরের পর বছর ধরে যখন খুশি মামলা করব এই মনোভাব নিয়ে চলেছেন। তাঁদের ইচ্ছাতেই মামলার দিন দেরি করে দেওয়া থেকে মামলা মুলতুবি পর্যন্ত হয়। সেখানেই ধাক্কা মেরেছেন মন্দাক্রান্তাদেবী। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে আইনজীবীরা মুখে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করছেন। অথচ জেলা জজের সামনে আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের কোনও তত্ত্বই দাঁড় করাতে পারেননি। বরং তিনি ওই সভায় কাজে যোগ দেওয়ার জন্য বলেছেন।”

বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সদন তায়ের দাবি, “সরাকরি আইনজীবী (জিপি) বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বিচারককে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি সেই অনুরোধ রাখেননি। মঙ্গলবার এজলাসের সামনে পুলিশ মোতায়েন ঠিক হয়নি। জেলা জজের কাছে কেন এমন হল জানতে চেয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন