এমন দৃশ্যই দেখা যায় বর্ধমান-সিউড়ি (২বি) জাতীয় সড়কে। নিজস্ব চিত্র
এ পথ দিয়ে গেলে ধুলো-ঝড় দেখাটা কার্যত ফি দিনের ছবি। সঙ্গে আলো না থাকায় প্রায়শই লোহার অস্থায়ী সেতুতে ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তাটি বর্ধমান-সিউড়ি (২বি) জাতীয় সড়ক। এলাকা, নবাবহাট ও আলমপুর। অথচ এই রাস্তার উপরে তৈরি হচ্ছে দু’টি সেতু। যাত্রীদের অভিযোগ, ওই দুই সেতু তৈরিতে গড়িমসির কারণেই এই পথ-যন্ত্রণা থেকেই যাচ্ছে। সেই সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, এ ভাবে আর কত দিন চলবে?
প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বরে জাতীয় সড়কের উপরে নবাবহাটের ১০৮ শিব মন্দিরের কাছে একটি ৬০ ফুট লম্বা সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। এখান থেকে খানিক দূরে মাস চারেক আগে আলমপুরেও একটি ছোট সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরেও সেতু দু’টি তৈরির কাজ শেষ হয়নি। তা ছাড়া আলমপুরে আবার রাস্তার ধারে নির্মাণসামগ্রী ডাঁই করে রাখায় সব সময় ধুলোর ঝড় উঠছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নবাবহাট ও আলমপুরের ওই দু’জায়গাতেই মাঝেসাঝেই যানজট তৈরি হচ্ছে। প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনাও।
এ ছাড়া নবাবহাটে নির্মীয়মাণ সেতুর পাশে থাকা লোহার অস্থায়ী সেতুটি নিয়েও বিস্তর সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সেখানে আলো থাকায় রাতে দুর্ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি এক সাইকেল আরোহী ও বধূ উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন। এর পরে সেতু দুটি দ্রুত তৈরির দাবিতে পথ অবরোধও করেন বাসিন্দাদের একাংশ। আলপনা কর্মকার, মতিলাল শেখদের দাবি, “বাঁকের মুখে অস্থায়ী সেতু রয়েছে। রাতে আলও নেই। এই দুই কারণে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে।”
যদিও রাজ্যের পূর্ত দফতরের (হাইওয়ে ডিভিশন ২) এক কর্তা জানান, সেচখালে জল বেশি থাকায় নির্মাণ কাজ করতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে তাঁর আশা, চলতি মাসের মধ্যে ওই সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারবে।