বিমার টাকা কই, চিঠি প্রশাসনকে

একবার এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় জমিতেই পচে গিয়েছিল ধান। পরের বার নাবি ধসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আলু চাষ। দুটি ফসলই ছিল বিমার আওতায়। তবে বারবার আবেদন করেও মেলেনি বিমার টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০০:০০
Share:

একবার এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় জমিতেই পচে গিয়েছিল ধান। পরের বার নাবি ধসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আলু চাষ। দুটি ফসলই ছিল বিমার আওতায়। তবে বারবার আবেদন করেও মেলেনি বিমার টাকা।

Advertisement

এমনই অভিযোগ করে কালনা ১ ব্লকের ‘মছলন্দপুর সিদ্ধেশ্বরী কালচারাল এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, জেলাসাশক, কালনার মহকুমাশাসক-সহ বিভিন্ন আধিকারিককে। তাতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের চাষিদের স্বাক্ষরও।

চাষিরা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের অতিবৃষ্টিতে ব্লকের বেশির ভাগ গ্রামের মাঠেই দীর্ঘ দিন জল জমে ছিল। ফলে জমিতেই ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। জমি থেকে জল কমলে ফের জমি তৈরি করে বাড়তি খরচ করে আমন চাষ করতে হয়। চিঠিতে চাষিদের অভিযোগ, এলাকার চাষাবাদ ৫০ শতাংশেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে ১৪ অগস্ট জেলাশাসক ঘোষণাও করেন। ইতিমধ্যে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরের আলু চাষে ব্যাপক নাবি ধসার সংক্রমণ দেখা দেয়। ফলে আলুর ফলন কমে। দুটি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হলেও চাষিদের কাছে পৌঁছয়নি বিমার অর্থ। এরপরেই ব্লকের বিভিন্ন এলাকার চাষিদের সংগঠিত করে প্রশাসনিক স্তরে চিঠি পাঠায় ওই সোসাইটি। সংস্থার তরফে প্রভাত দাস জানান, নানা জায়গায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওইটুকুই। কাজের কাজ এখনও কিছু হয়নি।

Advertisement

বিমার অর্থ না পাওয়া নিয়ে কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া কালনা ১ ব্লকের কৃষি আধিকারিককে বিষয়টি দেখতে বলেছেন। তারপরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাসও দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন