Durgapur

পুরনো শিল্পতালুক নিয়ে প্রশ্ন

দুর্গাপুরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের জন্য ১৯৬৮-তে তৈরি হয় দুর্গাপুর রুরাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রজেক্ট। প্রায় ১২ একর জমিতে সগড়ভাঙায় গড়ে ওঠে আরআইপি প্লট।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৩৩
Share:

দুর্গাপুর ইনডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ফেজ়-২। নিজস্ব চিত্র

নতুন শিল্পতালুক গড়তে ইনসেন্টিভ স্কিমের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের জন্য রাজ্যে আরও একশোটি পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। কিন্তু তার আগে পুরনো শিল্পতালুকগুলির কী অবস্থা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

‘দুর্গাপুর স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ় অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি সুব্রত লাহা বলেন, ‘‘নতুন একশোটি শিল্পতালুক গড়া হবে, তা ভাল কথা। কিন্তু তার আগে পুরনো শিল্পতালুকগুলির উন্নয়নে অনেক কিছু করা দরকার।’’

দুর্গাপুরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের জন্য ১৯৬৮-তে তৈরি হয় দুর্গাপুর রুরাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রজেক্ট। প্রায় ১২ একর জমিতে সগড়ভাঙায় গড়ে ওঠে আরআইপি প্লট। ৯৯ বছরের লিজ়ে মোট ৭২টি প্লট বিলি করা হয়। তার মধ্যে কেউ কেউ দু’টি করে প্লট নিয়েছিলেন। তাঁদের অনেকেই এখন আর নেই। মালিকানা বদলে গিয়েছে। তবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি বলে অভিযোগ। এ ছাড়া, রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, রাস্তার আলো-সহ অন্য পরিকাঠামো নিয়ে নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন শিল্পোদ্যোগীরা। পরে আরআইপি প্লটের কাছে রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন নিগম আরও একটি শিল্পতালুক গড়ে তোলে। প্রায় ৩২টি প্লট বিলি করা হয়। সেখানে প্রায় সব প্লটেই কিছু না কিছু শিল্প গড়ে উঠেছে। বছর কুড়ি আগে দুর্গাপুর রুরাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রজেক্ট বাতিল করে তা আনা হয় রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন নিগমের আওতায়।

Advertisement

২০১৬ সালে বীরভানপুরের বন্ধ উড ইন্ডাস্ট্রিজ়ের প্রায় সাড়ে ১৩ একর জায়গায় গড়ে ওঠে দুর্গাপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ফেজ়-২। সেখানে প্লট আছে মোট ৫৮টি। এখনও অনেকগুলিই বিলিই করা যায়নি বলে নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে। এখানেও পরিকাঠামো নিয়ে নানা সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ। রাত নামলে আঁধারে পাহারা দিতে খুবই সমস্যা হয় বলে জানান রক্ষীরাও।

সমস্যা মেটাতে মাস ছয়েক আগে কলকাতায় গিয়ে নিগমের সঙ্গে বৈঠক করে ‘দুর্গাপুর স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ় অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের সভাপতি সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘কসবা, বেহালার শিল্পতালুকের মতো দুর্গাপুরের শিল্পতালুকগুলির রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি শিল্পোদ্যোগীদের সংগঠনই দেখুক, এমনটাই চায় নিগম। কিন্তু তার আগে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে দিতে হবে। অসম্পূর্ণ অবস্থায় আমাদের হাতে তুলে দিলে হবে না।’’

নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, শিল্পতালুকের পরিকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ শিল্পোদ্যোগীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অর্থ নেওয়ার কথা। কিন্তু অনেকেই তা দেন না বলে অভিযোগ। ফলে, পরিকাঠামো নিয়ে সমস্যা রয়েই যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিগমের এক আধিকারিক জানান, এ সব বকেয়া বিষয় নিয়ে নিগমের সঙ্গে শিল্পোদ্যোগীদের সংগঠনের বৈঠক হয়েছে। আরও আলোচনা দরকার। লকডাউনের জেরে সব থমকে রয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটবে বলে তাঁর আশা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন