Burdwan

ট্রেন, স্টেশনে ব্যবসা করতে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে হকাররা

ট্রেনে ভিড়ের চেনা ছবিটা ফিরলেও নেই হকারদের হাঁকডাক, আনাগোনা। নিত্যযাত্রীদের জন্য পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও এখনও হকারদের সব কিছুর বাইরেই রাখা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০ ১৬:০৯
Share:

স্টেশনে ব্যবসা করার অনুমতি পাননি হকাররা। নিজস্ব চিত্র।

রেলের চাকা গড়াতে শুরু করলেও কপাল খোলেনি হকারদের। এখনও ট্রেন, প্লাটফর্ম বা স্টেশন চত্বরে হকারদের ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে তাঁদের অবস্থা ফেরেনি। তাই বর্ধমানে এবার আন্দোলনে নামলেন হকাররা।

Advertisement

ট্রেনে ভিড়ের চেনা ছবিটা ফিরলেও নেই হকারদের হাঁকডাক, আনাগোনা। নিত্যযাত্রীদের জন্য পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও এখনও হকারদের সব কিছুর বাইরেই রাখা হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার বর্ধমান স্টেশনে আরপিএফের কাছে ব্যবসা করতে দেওয়ার দাবি পেশ করল তৃণমূল কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠন। শুরু হয়েছে আন্দোলনও।

পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ইফতিকার আহম্মদ বলেন, “একে একে সবই স্বাভাবিক হচ্ছে। তা হলে হকাররা কী দোষ করলেন! লোকাল ট্রেনে হকার উঠতে দেওয়া হোক। তাঁরাও কোভিড বিধি বা স্বাস্থ্য বিধি মেনেই ব্যবসা করবেন। তা ছাড়া স্টেশন চত্বরে হকারদের বসতে না দেওয়া হলে সাধারণ যাত্রীরাও তো সমস্যায় পড়ছেন। তাঁরাও প্রয়োজনে জল বা খাবার কিনতে পারছেন না।”

Advertisement

স্থানীয় এক হকার সন্তোষকুমার মণ্ডল বলেন, “লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। এবার আমাদেরও ব্যবসা করতে দেওয়া হোক। না হলে না খেয়ে মরতে হবে। ছেলের টিউশনের টাকা দিতে পারছি না। পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কোনও রকমে আধপেটা খেয়ে সংসার চলছে। এখন যদি আমাদের আটকানো হয়, তা হলে আত্মহত্যা ছাড়া পথ থাকবে না।” একই কথা বলেন হকার মহম্মদ আইনুলও, “কোভিডের জন্য আট মাস কাজ বন্ধ। সংসার চলছে না। বাড়িতে বাচ্চাদের ঠিক মতো খাবার জুটছে না। তা হলে আমরা কোথায় যাব?"

শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ইফতিকার আহম্মদের দাবি, গত ৮ মাসে বহু হকার কাজ হারিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রেলের উচিত এ বার হকারদের কথাও ভাবা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন