বৃষ্টিতে স্বস্তি আমন চাষে

রাতভর বৃষ্টিতে আমন চাষে আশা দেখছেন চাষিরা। কৃষি দফতরের দাবি, রবিবার রাত থেকে জেলার নানা জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টিতে বীজতলা তৈরির আগে উপকার পাবেন আমন চাষিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা ও কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৬ ০৬:২১
Share:

রাতভর বৃষ্টিতে আমন চাষে আশা দেখছেন চাষিরা। কৃষি দফতরের দাবি, রবিবার রাত থেকে জেলার নানা জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টিতে বীজতলা তৈরির আগে উপকার পাবেন আমন চাষিরা।

Advertisement

সপ্তাহ খানেক ধরেই বৃষ্টির ছিটেফোটাও ছিল না জেলায়। বোরো মরসুমে জলের অভাব তো ছিলই, আমনের শুরুতেও এই পরিস্থিতি দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছিস ধান, সব্জি চাষিদের। তবে এ দিনের বৃষ্টিতে অনেকটাই স্বস্চি মেলে। মহকুমা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মন্তেশ্বর ব্লকে। সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০৬ মিলিমিটার। এ ছাড়া কালনায় বৃষ্টিপাত হয় প্রায় ৬৯ মিলিমিটার। ইতিমধ্যেই পাঁচ ব্লকেই চাষিরা আমন ধানের বীজতলা তৈরির কাজ সেরে ফেলেছেন। চাষিদের দাবি, আমন চাষের জন্য জমি তৈরি করতে প্রয়োজন ভারি বৃষ্টি। এ দিন যার অনেকটাই মিলেছে। কাটোয়ার চরবিবিহাট মৌজার আমন চাষি বিশ্বজিৎ শিকদার জানান, এ বার বীজতলা তৈরি শুরু হবে। তার আগে বৃষ্টি হয়ে জমিতে জল পাওয়া গেল। সব্জি চাষেও উপকার হয়েছে বৃষ্টিতে।

বৃষ্টির অভাবে পূর্বস্থলীর দুটি ব্লকে ব্যাপক মার খেয়েছিল সব্জি চাষ। টানা শুষ্ক আবহাওয়ায় পরাগ মিলনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলেও কৃষি দফতরের দাবি। ফলে বাজারে জোগান কমতে শুরু করেছিল সব্জির। তবে পাট চাষিরা আবার ঝড়-বৃষ্টিতে গাছে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের চরবিবিহাট মৌজায় পাট চাষের অল্প ক্ষতি হয়েছে। দাঁইহাটের বেরা গ্রামের পাট চাষি কপিল মণ্ডলের দাবি, বৃষ্টিতে পাট গাছের ডগা ভেঙে গিয়েছে। জেলার এক সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ জানান, কমবেশি লব ফসলই উপকার পাবে বৃষ্টিতে। থাকা মাটির তলার জলস্তরও কিছুটা বাড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন