খাদ্যসামগ্রী পরীক্ষা। নিজস্ব চিত্র।
দিন কয়েক আগেই এক দশকেরও বেশি পুরনো আটা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তার পরে বৃহস্পতিবার কাটোয়ার কয়েকটি রেশন দোকানে অভিযান চালিয়ে ফের বেশ কিছু অনিয়ম নজরে পড়ল প্রশাসনের কর্তাদের। বাতিল করা হল একটি দোকানের লাইসেন্স।
এ দিন সকাল থেকেই মহকুমাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, মহকুমা খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিক দেবলীনা ঘোষ, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিপ্লব সরকার ও পার্থপ্রতিম সাধুখাঁ’রা রেশন সামগ্রীর গুণগত মান, ডিলারদের বৈধ অনুমতিপত্র প্রভৃতি খতিয়ে দেখতে অভিযান শুরু করেন। প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিসভাপাড়া, গোয়ালপাড়া, কারবালাতলা মোড়, নীচু বাজার, ডাবপট্টি এলাকার পাঁচটি রেশন দোকান এবং কাটোয়া-বর্ধমান রাজ্য সড়ক লাগোয়া একটি ডিস্ট্রিবিউটারের গুদামে অভিযান চালানো হয়।
প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিসভাপাড়ার দোকানটিতে একই সঙ্গে মুদিখানা ও রেশন দোকান চলায় তার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যসামগ্রীর রেকর্ড দেখাতে না পারায় বাকি চারটি দোকান ও ডিস্ট্রিবিউটারের গুদামের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে শো-কজও করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘পুরনো সামগ্রী বিক্রির একাধিক অভিযোগ পেয়েই অভিযান চলে। দোকানগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’
যদিও রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফে নিমাই দাস দাবি করেন, ‘‘যে সামগ্রী আমাদের কাছে আসে, তাইই বিক্রি করা হয়। কোনও অনিয়ম হয় না।’’