চলছে সংস্কার। নিজস্ব চিত্র
মাঝেরহাটে সেতু-বিপর্যয়ের পরে গুসকরার কুনুর নদীর সেতু হাল ফেরানোর জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, বিষয়টি তাঁদের এক্তিয়ারে নয়। এটি রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের আওতায় রয়েছে। অবশেষে চাপানউতোর পেরিয়ে শুক্রবার থেকে সংস্কারের কাজ শুরু হল ওই সেতুর।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানান, বর্ধমান থেকে শান্তিনিকেতনে যাওয়ার পথে ২বি জাতীয় সড়কে প্রায় ৫০ বছরের পুরনো ওই সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল পড়ে রয়েছে। সেতু দিয়ে ভারী মালবাহী গাড়ি, যাত্রিবাহী বাস থেকে ছোট গাড়ি, মোটরবাইক, সাইকেল ও পথচারীরা যাতায়াত করেন। জীর্ণ সেতুটি অবিলম্বে মেরামত না হলে তা ভেঙে বহু মানুষের প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই চিঠির প্রেক্ষিতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কলকাতা আঞ্চলিক কার্যালয়ের আধিকারিক আরপি সিংহ রাজ্যের জাতীয় সড়ক শাখার মুখ্য বাস্তুকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, ওই সেতু মেরামতির দায়িত্ব তাঁদের নয়, রাজ্য সরকারের। কিন্তু সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক। তাঁর প্রশ্ন, বিষয়টি যদি রাজ্য সরকারের অধীন হয়, তবে কিছু দিন আগে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে ওই সেতুটি পরিদর্শন করা হল কেন? ওই দফতর থেকেই সেতু সংস্কারের জন্য টেন্ডার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছিল। শেষমেষই পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগই কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চিঠি ও পাল্টা চিঠি থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, রাজ্য ঠিকমতো মেরামত না করায় সেতুর এই হাল হয়েছে। সেতুর উপরের দিকে রঙ করা হলেও নীচে অবস্থা খুব খারাপ বলেও অভিযোগ। এ দিন জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের একটি সংস্থা এই সেতুর কাজের বরাত পেয়েছেন। প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রায় দু’মাস ধরে চলবে বলেও পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।