Asansol

ইসিএলের উচ্ছেদ-নোটিস, বিক্ষোভ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খনি আধিকারিকদের একাংশ জানান, ওই ৬৬.২৯ একর জমিতে নির্মাণ তুলে বসবাস করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি উচ্ছেদ-নোটিস দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:২৩
Share:

কালীপাহাড়িতে তৃণমূলের নেতৃত্বে আন্দোলন। নিজস্ব চিত্র

খনি সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য সংস্থার জমিতে বসবাসকারীদের উঠে যাওয়ার নোটিস দিয়েছিল ইসিএল। কালীপাহাড়ি খনির সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য উচ্ছেদের এই নোটিসের প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বাসিন্দাদের একাংশ। এ দিন প্রায় একশো জন বাসিন্দা খনি কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিক্ষোভস্থলে তৃণমূলের দলীয় পতাকাও দেখা গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি।

Advertisement

আসানসোলের ডামরা লাগোয়া ইসিএলের কালীপাহাড়ি খনিটি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে ইসিএল। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, খনিটির দক্ষিণ-পূর্বে ‘বি-প্যাচ’ নামে একটি খোলামুখ খনি খোলা হবে। এ জন্য প্রায় ১৪৪.৭ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫.২৪ একর ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের হাতে থাকা ১২.৫৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে ইসিএলের ৬৬.২৯ একর জমি নিয়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খনি আধিকারিকদের একাংশ জানান, ওই ৬৬.২৯ একর জমিতে নির্মাণ তুলে বসবাস করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি উচ্ছেদ-নোটিস দেওয়া হয়। বুধ ও বৃহস্পতিবার এলাকায় মাইকিংও করা হয়। এর পরে থেকেই শুরু হয় বিরোধিতা।

Advertisement

এ দিন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিনাকুমারী হাঁসদা ও তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরার নেতৃত্বে শতাধিক বাসিন্দা পতাকা, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করেন। মনোরঞ্জন বলেন, “একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে বাসিন্দারা এই এলাকায় রয়েছেন। পুনর্বাসন ছাড়া রাতারাতি উঠে যেতে বললেই হবে না।” তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভগন ধাওড়া, সিএম ঘুষিক, বরুণ ধাওড়া-সহ লাগোয়া অঞ্চলে শতাধিক বছর ধরে বসবাস করছেন প্রায় হাজারখানেক বাসিন্দা।

এ দিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় ভূগর্ভে প্রায় ১৪ লক্ষ টন কয়লা মজুত রয়েছে। সেখান থেকে কয়লা না তোলা হলে, অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে কালীপাহাড়ি খনি। সে ক্ষেত্রে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে ইসিএল। পাশাপাশি, খনি সম্প্রসারণ হলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে। এলাকার অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে। এমন বিক্ষোভের জেরে পুরো প্রক্রিয়াটিই থমকে যেতে বসেছে।

যদিও, তৃণমূলের অন্যতম জেলা নেতা বিধান উপাধ্যায় বলেন, “ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সন্তোষজনক সমাধান সূত্র বারকরা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন