Budbud

রাস্তায় গাছের ডাল ফেলে রেখে অবরোধ তিলডাঙায়

এলাকাবাসী জানান, রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে কসবা, রণডিহা, চাকতেঁতুল-সহ নানা জায়গায় বিক্ষোভও দেখিয়েছেন এলাকাবাসী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুদবুদ শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৩৭
Share:

বুদবুদের তিলডাঙায় বিক্ষোভকারীরা। নিজস্ব চিত্র।

রাস্তায় গাছের ডাল ফেলে রেখে অবরোধ তিলডাঙায় সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করার দাবিতে রাস্তায় গাছের ডাল ফেলে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসীর একাংশ। বুধবার বুদবুদের তিলডাঙার ঘটনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বছর দু’য়েক আগে তিলডাঙা মোড় থেকে কসবা হয়ে রণডিহা পর্যন্ত রাস্তাটির সংস্কারের কাজ শুরু হলেও মাঝ পথে সেই কাজ থমকে যায়। কারণ, দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকা সংস্থাটি কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তাটি দিয়ে বেশ কিছু যাত্রিবাহী বাস চলে প্রতিদিন। অন্তত ৫০টি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বছর দু’য়েক আগে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা খরচে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করে পূর্ত দফতর। কাজের বরাত পায় একটি ঠিকা সংস্থা।

তবে এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের কাজ প্রথম দিকে সন্তোষজনক গতিতে চললেও, তা মাস ছ’য়েক ধরে বন্ধ। তার পরে, ঠিকা সংস্থাটি এলাকা ছাড়ায় রাস্তার কাজও হচ্ছে না। এমনকি, রাস্তা সংস্কারের জন্য যে পাথর, বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, সেগুলিও রাস্তা ফুঁড়ে উপরে উঠে গিয়েছে। ফলে, প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসী জানান, রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে কসবা, রণডিহা, চাকতেঁতুল-সহ নানা জায়গায় বিক্ষোভও দেখিয়েছেন এলাকাবাসী। বারবার সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করার আশ্বাস মিললেও, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

এ দিন প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে। অবরোধের জেরে আটকেও পড়েন অনেকে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যায় বুদবুদ থানার পুলিশ। পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরাও আসেন ঘটনাস্থলে। তাঁদের কাছেও নিজেদের অভিযোগ জানান স্থানীয়েরা। পরে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস পেলে বিক্ষোভ ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঠিকাদারের গাফিলতিতেই রাস্তার কাজ শেষ হচ্ছে না। আমি পূর্ত দফতরের কাছে অভিযোগ করেছি। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে।’’ পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাছে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। চেষ্টা করেও দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকা সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগকরা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন