খন্দে ভরা গ্রামের রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।
হেঁটে হোক বা মোটরবাইকে সওয়ার হয়ে, এই গ্রামে ঢুকতে গেলে হোঁচট খাওয়াটা দস্তুর। বর্ষায় রাস্তা আরও খারাপ হয়ে যায়। এমনই হাল কাটোয়া ২ ব্লকের শ্রীবাটি পঞ্চায়েতের চান্ডুলি গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তাটির। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে বারবার দরবার করেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
পঞ্চাননতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ১৩০০ মিটার চওড়া এবং সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তার কোথাও পিচের প্রলেপ পড়েনি। গোটা রাস্তায় মোরামের। সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ রাস্তাটির বেশির ভাগ এলাকায় খন্দে ভরা। রাস্তায় মোরাম থাকায় ফি বছর বর্ষায় জল-কাদায় নাকাল হতে হয় বলে জানান বাসিন্দারা। এ ছাড়া রাস্তার খন্দও জলে ভরে যাওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা।
বাসিন্দারা জানান, তাঁদের গ্রামে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষের বাস। স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র— সব জায়গাতে যেতেই ভরসা এই রাস্তাটিই। আবার গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষিজীবী হওয়ায় খেত থেকে ফসল নিয়ে আসতেও ভরসা এই রাস্তাটি। রাস্তার পাশেই রয়েছে একটি তিনশো মিটারের বড় কালভার্ট। ২০০৯ সালে কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার পরে সেই জায়গায় ছাই ফেলে ভরাট করা হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যেই গাড়ির চাপে খন্দ তৈরি হয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা বাবু চৌধুরী, কৃষ্ণপ্রসাদ রায়েরা। এর ফলে বেড়েছে ভোগান্তি। এক চাষি জানান, খেত থেকে ফসল আনতে গেলে অনেক সময়েই গরুর গাড়ির চাকা রাস্তায় আটকে যায়। রাস্তার নিকাশির হালও অত্যন্ত খারাপ বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত বটব্যালের ক্ষোভ, ‘‘স্বাধীনতাসংগ্রামী প্রমথনাথ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত এই গ্রাম। সেই গ্রামে ঢুকতে গেলেই এখন হোঁচট খেতে হয়। বর্ষায় তো বাসস্ট্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।’’
জেলাপরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডুর অবশ্য আশ্বাস, ‘‘রাস্তাটির জন্য দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বর্ষার আগেই সংস্কারের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।’’