বাজার উঠে আসে রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র
ফুটপাথ দখল করে দেদার চলছে বিকিকিনি। পার্কিং জোন না থাকায় দোকানের সামনেই দাঁড় করানো মোটরবাইক, গাড়ি। এর জেরে জামুড়িয়া বাজারে ফি দিন যানজটে দুর্ভোগের ছবিটা দ্বস্তুর বলে জানান বাসিন্দারা। তাঁদের ক্ষোভ, প্রশাসনের কাছে বারবার সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি।
বাসিন্দারা জানান, সিনেমা মোড় থেকে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে ঠেলায় করে আনাজ, ফল বিক্রি চলছে। অনেকে আবার ফুটপাথের উপরে বসেই জিনিসপত্র বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়া নন্ডী মোড়ে ট্রেকার আর অটোর দৌরাত্ম্য, আঢাকা অবস্থায় মাছ-মাংসের দোকান— সবই চলছে রমরমিয়ে। একই হাল জামুড়িয়া বাজার রোডেরও। এই পরিস্থিতিতে প্রায়শই ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে। ফুটপাথ দিয়ে চলাচল কার্যত বন্ধ।
তবে প্রশাসনের দাবি, যানজট রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ অতীতে করা হলেও তার কিছুই সফল হয়নি। যেমন? স্থানীয় কংগ্রেস নেতা বিশ্বনাথ যাদব জানান, বাজারকে যানজট মুক্ত করতে অদূরে বাইপাস তৈরি করে সেখানে বাসস্ট্যান্ড করা হলেও সেখানে পরিবহণকর্মীরা যেতে চাননি। বর্তমানে স্ট্যান্ডটিতে দাঁড়ায় ট্রাক ও ট্যাক্সি। পাশেই রয়েছে গুদামঘর। পুর প্রশাসন এক সময় ঠিক করেছিল, ব্যবসায়ীরা যাবতীয় জিনিসপত্র গুদামে রেখে ছোট গাড়িতে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে বাজারে আনবেন। সকাল ছ’টার আগে অথবা বেলা ১২টা থেকে দুপুর তিনটের মধ্যে, এই দুই সময়ে রাস্তার দু’ধারে গাড়ি থেকে মাল ওঠানো-নামানো যাবে।
কিন্তু এ সব নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়নি বলে ক্ষোভ বাসিন্দাদের। বাজার এলাকার বাসিন্দা তথা সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর বিষ্ণু পাঠকের দাবি, ‘‘২০১০-এ আমরা পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। কিন্তু ২০১১-য় রাজ্যে পালাবদল হওয়ায় পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।’’ যদিও স্থানীয় শিল্পপতি অশোক সান্থালিয়া বলেন, ‘‘৫৬টি গ্রামের চাষিরা এই বাজারের উপরে নির্ভরশীল। বণিক সংগঠন প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।’’
স্থানীয় বাসিন্দা তথা পুরসভার এক নম্বর বরো চেয়ারম্যান শেখ সান্দারের দাবি, ‘‘গুদামটি দ্রুত চালু করা হবে। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে মিলিত ভাবে যানজট সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।