মাঠ ফাঁকা, নোংরা উপচে রাস্তায়

পূতিগন্ধে টেকা দায় স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের। পথচলতিদের ক্ষোভ, রুমালে নাক ঢেকে বা দমবন্ধ করে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ১৫:০০
Share:

এ ভাবেই চলে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

আবর্জনা ফেলার মাঠ ফাঁকা, অথচ নোংরা উপচে এসে পড়ছে বর্ধমান-কালনা রোডে। পূতিগন্ধে টেকা দায় স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের। পথচলতিদের ক্ষোভ, রুমালে নাক ঢেকে বা দমবন্ধ করে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

Advertisement

বর্ধমান শহরের এই আর্বজনা ফেলার জায়গা বা ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে গোলমাল বহু দিনের। অথচ বাসিন্দাদের ভোগান্তি কোনও সময়েই কমেনি। এক সময়, জায়গার বিনিময়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডটিকে প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিয়েছিল পুরসভা। বাধ সাধেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বছর দেড়েক আগে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী সবার সামনে ধমক দেন পুরপ্রধান স্বরূপ দত্তকে। তারপর বাঁকা নদী দিয়ে অনেক জল গড়ানোর পরে ডাম্পিং গ্রাউন্ড পুরসভার হাতে ফিরে এসেছে। পুরসভার দাবি, নিয়মনীতি না মেনে জমি হস্তান্তর হওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন তা বাতিল করে দিয়েছে। এখন শহরের আবর্জনা ফের ওই মাঠে
ফেলছে পুরসভা।

বর্ধমান-কালনা রোডের এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পাশ দিয়েই যেতে হয় ‘মাটি তীর্থে’র স্থায়ী মঞ্চে। রয়েছে জেলা কৃষি খামার, হাঁস প্রজনন কেন্দ্র। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথেই মালুম প়়ড়ে, পাঁচিল দিয়ে ঘেরা ধাপার মাঠের ভিতর অনেকটাই ফাঁকা। অথচ রাস্তার ধারে নোংরা জমে ডাঁই।

Advertisement

কেন? ওই এলাকার বাসিন্দারা, ব্যবসায়ীরা জানান, পুরসভার ট্রলি বা বড় গাড়িতে করে দুপুর থেকে আবর্জনা ফেলতে শুরু করে। তাদের গাড়ি ভিতর পর্যন্ত না গিয়েই রাস্তার উপর আবর্জনা ফেলে দিয়ে চলে যায়। নিষেধ করলেও কর্মীরা কোনও কথা শোনেন না বলে তাঁদের অভিযোগ। ফলে দুর্গন্ধের সঙ্গেই বাস করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। আবর্জনার জন্য পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। চিকিৎসকেরাও জানান, আবর্জনার দূষণে স্থানীয় বাসিন্দাদের শ্বাসকষ্ট থেকে চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে রাস্তার উপর আবর্জনা ফেলার দায় নিতে চাননি পুরপ্রধান। উল্টে স্থানীয় বাসিন্দারা ও ব্যবসায়ীরা রাস্তায় আবর্জনা ফেলে বলে দাবি করেছেন তিনি। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে যতদিন না পুরপ্রধান এসে দেখেন, তত দিন দুর্গন্ধই সঙ্গী এলাকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন