Bardhaman

‘ব্রিটিশ আমলের পুকুরের’ জল ছেঁচতেই গোটা গ্রাম খুঁজছে সোনা! ভাতারের গ্রামে দিনভর হইচই

স্থানীয়দের দাবি, কামারপাড়ায় একটি পুকুর রয়েছে, সেটি ব্রিটিশ আমলের। ওই পুকুরে জল মরতেই এলাকার মানুষজনের মধ্যে সোনার গয়না খোঁজার হিড়িক পড়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ভাতার শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ২১:২৬
Share:

সোনার খোঁজে তল্লাশি! —নিজস্ব চিত্র।

সবাই পুকুরে নেমেছেন সোনা খুঁজতে। সোনা মেলেনি। তবু শুকিয়ে যাওয়া পুকুর হাতড়ে চলেছেন একটা গোটা গ্রামের মানুষ। মঙ্গলবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কামারপাড়ায়।

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি, কামারপাড়ায় একটি পুকুর রয়েছে, সেটি ব্রিটিশ আমলের। ওই পুকুরে জল মরতেই এলাকার মানুষজনের মধ্যে সোনার গয়না খোঁজার হিড়িক পড়েছে। কিন্তু কেন? স্থানীয়রা বলছেন, ওই পুকুরটি দেবোত্তর পুকুর হিসাবে পরিচিত। ১৮২৫ সালে পুকুরটিকে সংস্কার করার জন্য পুনরায় খনন করেন কামারপাড়ার জমিদার। তার পর থেকে ওই পুকুরের জল নাকি কখনও ‘মরেনি’। এলাকাবাসীর দাবি, ‘‘এখানে কেউ মাছও ধরেন না।’’ বেশ কয়েকবার ওই পুকুর ছেঁচে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয়েরা। কিন্তু সেই কাজ আর হয়ে ওঠেনি।

টানা ১৬দিনের চেষ্টায় ওই পুকুরের জল পুরোপুরি ছেঁচে ফেলা হয়েছে মঙ্গলবার। গ্রামবাসীদের মধ্যে ধারণা ছিল, ওই পুকুরের জল কখনও মরে না। অন্য দিকে, যে হেতু দেবোত্তর পুকুর বলে পরিচিত, তাই সেখানে সোনাদানা পড়ে থাকতে পারে এই ভেবে নেমে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। বহু মানুষ ওই পুকুরে মানত করে সোনার গয়না ফেলতেন বলে তাঁদের দাবি। তাই সোনার সন্ধানে পুকুর তোলপাড় করছেন অনেকেই।

Advertisement

বর্তমানে ওই পুকুরের মালিক জমিদার পরিবারের বংশধর অয়ন রায়। এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ কোনার বলেন, ‘‘ওই পুকুরের জল শুকিয়েছে। এখানে দু’এক জন অল্প কিছু সোনাদানা পেয়েছেন। তাই ক্রমশই ভিড় বাড়ছে।’’ আর এক বাসিন্দা অভিজিৎ কোনার বলেন, ‘‘আগে এখানে ভয়ে কেউ নামত না। মাছ ধরাও হত না। এখন জল ছেঁচতেই এত হুড়োহুড়ি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন