মন্তেশ্বরে প্রার্থী প্রয়াত বিধায়কের ছেলে

মাসখানেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মন্তেশ্বরের বিধায়ক সজল পাঁজা। সেই আসনেই প্রার্থী হলেন তাঁর বড় ছেলে সৈকত পাঁজা। সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, ১৯ নভেম্বর এ রাজ্যের দুটি লোকসভা কেন্দ্রের সঙ্গে মন্তেশ্বর বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে। তারপরেই ঘোষণা করা হয় সৈকতের নাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ০০:১৬
Share:

সৈকত পাঁজা। —নিজস্ব চিত্র।

মাসখানেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মন্তেশ্বরের বিধায়ক সজল পাঁজা। সেই আসনেই প্রার্থী হলেন তাঁর বড় ছেলে সৈকত পাঁজা। সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, ১৯ নভেম্বর এ রাজ্যের দুটি লোকসভা কেন্দ্রের সঙ্গে মন্তেশ্বর বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে। তারপরেই ঘোষণা করা হয় সৈকতের নাম। জানা গিয়েছে, বছর ছাব্বিশের সৈকত বরাবরই বেলুড়ের বাসিন্দা। লালবাবা কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ায় পরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম কম পাশ করেন তিনি। আপাতত ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্টিংয়ের কোর্স করছেন। তবে কলেজ রাজনীতি ছাড়া এর আগে তাঁকে এ ময়দানে দেখা যায়নি। যদিও তৃণমূল নেতাদের দাবি, সজলবাবুর ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চাসেত সমিতির সদস্য থেকে দলের একেবারে নিচুতলার কর্মীরা। সেই আর্জিই পাঠানো হয়েছিল রাজ্য স্তরে। এমনকী, রবিবার সৈকতই যে প্রার্থী সে খবরও পৌঁছে যায় এলাকায়। তৃণমূলের তরফে তিনটি ছোট সভাও করা হয় তাঁকে নিয়ে। মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্লক তৃণমূল সম্পাদক তড়িৎ রায় বলেন, ‘‘সজলদা এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। দলের কর্মী-সমর্থকেরা তাঁর ছেলেকে পেয়ে খুশি। বড় ব্যবধানে জয়ের আশা করছি।’’ তৃণমূল সূত্রের খবর, দিঘায় বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে কাজে গিয়ে মারা যায় সজলবাবু। তার দেহ মন্তেশ্বরে আসতেই মানুষের ঢল নামে। বোঝা যায় নেতার। জনপ্রিয়তা।

Advertisement

উপ-নির্বাচনে সেই আবেগকে কাজে লাগাতেই তাঁর ছেলেকে দাঁড় করানো হয়েছে বলেও দলেরই একাংশের দাবি। কিন্তু ৪১ বছর পরে সিপিএমের যে আসন হাতে এল সেখানে একেবারে আনকোরা মুখ আনাটা কী ঠিক? তৃণমূলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথের দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। দিদিকে দেখেই মানুষ ভোট দেন। আমাদের প্রার্থী উচ্চশিক্ষিত। তাঁর জয়ের ব্যাপারে দল আত্মবিশ্বাসী।’’

সৈকতও বলেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কলেজে রাজনীতি করেছি। বাবার সঙ্গেও ঘুরেছি। রাজনীতির মাঠে অসুবিধে হবে না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন