বর্ধমানে বিকল পড়ে ন্যাপকিন ভেন্ডিং যন্ত্র

মাস কয়েক আগেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং যন্ত্র ও ন্যাপকিন নষ্ট করার যন্ত্র, ‘ইনসিনেরেটর’ বসানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪৯
Share:

মাস কয়েক আগেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং যন্ত্র ও ন্যাপকিন নষ্ট করার যন্ত্র, ‘ইনসিনেরেটর’ বসানো হয়। কিন্তু ছাত্রীরা জানান, ন্যাপকিনের মান খারাপ হওয়ায় বেশির ভাগ যন্ত্রই বর্তমানে ব্যবহার হয় না। এই পরিস্থিতিতে কয়েকটি যন্ত্র খারাপও হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচটি ছাত্রী আবাসের প্রতিটি তলায়, গোলাপবাগ ও রাজবাটি ক্যাম্পাসে মোট ২২টি ভেন্ডিং যন্ত্র ও ৪৫টি ইনসিনেরেটর বসানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কটি বিভাগে ওই যন্ত্র দু’টি রয়েছে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট খরচ হয় ১৪ লাখ টাকা। প্রতিটি ভেন্ডিং যন্ত্রে ১০৮টি স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাকেট মজুত থাকে।

কয়েক জন শিক্ষিকা ও ছাত্রী জানান, হঠাৎ প্রয়োজন পড়লে ওই যন্ত্রে ১০ টাকা ফেললেই তিনটি ন্যাপকিনের একটা করে প্যাকেট মিলছিল। প্রথম কয়েক দিন যন্ত্রগুলি ব্যবহারও করা হচ্ছিল। কিন্তু মাস কয়েক যাওয়ার পরেই যন্ত্র দু’টির ব্যবহার কমিয়ে দেন ছাত্রীরা। কেন? এক ছাত্রীর অভিযোগ, ওই সব ন্যাপকিনের গুণগত মান খুবই খারাপ। তাই সেগুলি আর ব্যবহার করতে চান না ছাত্রীরা। সমস্যার কথা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী জুলফিকার খাতুন বলেন, “অব্যবহৃত থাকায় ৮-১০টি ভেন্ডিং যন্ত্র অচল হয়ে পড়েছে। কয়েক বার সারানোও হয়েছে।’’

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভেন্ডিং যন্ত্র বসানোর উদ্যোগ নতুন নয়। রাজ্যের মধ্যে এ বিষয়ে প্রথম উদ্যোগী হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তার পরে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করে বর্ধমান। তবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঁজা বলেন, ‘‘অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মাত্র ৫-৭টি যন্ত্র বসিয়েছে। সেখানে মহিলাদের সুবিধার কথা ভেবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে।’’

তবে উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, “কেন ওই যন্ত্রগুলি ব্যবহার হচ্ছে না, তা খোঁজ নিতে হবে।” রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য শিখা আদিত্য বলেন, “ন্যাপকিনের গুণগত মানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যাতে নজর রাখে, তার জন্য কথা বলব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন