পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম এলাকার দিগনগর গ্রামের হালদার বাড়ির সরস্বতী পুজো। —নিজস্ব চিত্র।
এই গ্রামে সরস্বতী একলা আসেন না। এখানে সরস্বতীর সঙ্গে পূজিত হন আরও ছয় দেবদেবী। পুজোর দু’দিন পরে গরুর গাড়িতে করে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয় এখানে!
বাংলায় নানা রকম রীতি রয়েছে। অনেক গ্রামেই রয়ে গিয়েছে পুজোর প্রাচীন নিয়মনীতি। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম এলাকার দিগনগর গ্রামের হালদার বাড়ির সরস্বতী পুজো তারই একটি।
পরিবারের অন্যতম কর্তা অলক হালদার জানান, অন্তত ৩০০ বছর আগে এই পুজো শুরু হয়েছিল। কিন্তু কে তার সূচনা করেছিলেন, তা জানা যায় না। শোনা যায়, বাইরে কোথাও ঘুরতে গিয়ে এই রীতিতে পুজো দেখেছিলেন পরিবারের কোনও পূর্বপুরুষ । তাঁর স্থাপন করা মূর্তিই প্রতি বছর পুজো করা হয়। সরস্বতীর সঙ্গে থাকেন জয়া, বিজয়া, নারদ আর ইন্দ্র।এ ছাড়াও উপরে দু’টি পরীর মূর্তি থাকে।
রবিবার থেকে সরস্বতী পুজো শুরু হয়েছে। বহু পরিমাণ চালের নৈবেদ্য, ফল, বাতাসা, কদমা এবং নানা রকম মিষ্টি দিয়ে পুজো হয়। সোমবারও নানা উপাচারে পুরনো রীতি মেনেই পুজো হয়েছে। বুধবার বির্সজন। পারিবারিক পুজো হলেও গ্রামের মানুষ পুজো দেখতে আসেন। তাঁরাও পুজোয় অংশ নেন। পুজো উপলক্ষে অনেক আত্মীয়স্বজন এই সময় গ্রামে আসেন।