মশা দমনে স্কুলে নজর প্রশাসনের

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব ডি নারিয়ালা ২৩ অক্টোবর জেলাশাসক, জেলা সর্বশিক্ষা মিশন ও বিদ্যালয় পরিদর্শককে চিঠি দিয়ে মশাবাহিত রোগ যেমন ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া রোধে স্কুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ০১:০৪
Share:

পুজোর টানা ছুটির পরে স্কুল খুলেছে। দেখা যাচ্ছে, নজরদারির অভাবে জমেছে আগাছা। নীচু জায়গায় জমেছে জল। এ দিকে মশাবাহিত রোগ বেড়েই চলেছে। তাই ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সব পরিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব ডি নারিয়ালা ২৩ অক্টোবর জেলাশাসক, জেলা সর্বশিক্ষা মিশন ও বিদ্যালয় পরিদর্শককে চিঠি দিয়ে মশাবাহিত রোগ যেমন ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া রোধে স্কুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ প্রশাসন ও স্কুল পরিদর্শকের দফতরের পক্ষ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলার সব স্কুলে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য মশাবাহিত রোগ যে কোনও ভাবে দূর করতে হবে। পুজোর ছুটির জন্য দীর্ঘদিন স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ ছিল। ফলে স্কুল চত্বরে কোথাও আগাছা জন্মেছে। কোথাও নীচু জায়গায় জল জমেছে। সব মিলিয়ে কোনও কোনও স্কুলে মশার আঁতুড়ঘর তৈরি হয়েছে। তা নষ্ট করে দিতে হবে। সে জন্য আগাছা, বর্জ্য সাফাইয়ের পাশাপাশি কীটনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থাও করতে হবে। স্কুলগুলিকে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজ শেষ করার সময়ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিতে হবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের হাতে।

সেই নির্দেশিকা

Advertisement

সরকারি এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। দুর্গাপুর প্রজেক্টস বয়েজ হাইস্কুলের শিক্ষক জইনুল হক বলেন, ‘‘সব স্কুল এমন নির্দেশিকা মেনে এগোলে পড়ুয়াদের নিয়ে চিন্তা কিছুটা কমবে।’’ দুর্গাপুরের বিজড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজি নিজামুদ্দিন বলেন, ‘‘মশাবাহিত রোগে সব থেকে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে ছোটদের। তাই স্কুলে যাতে কোনওভাবে মশার উপদ্রব না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’’ একই কথা জানিয়েছেন কাঁকসার সিলামপুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার পালও।

কী বলছেন অভিভাবকেরা? কাঁকসার একটি স্কুলের অভিভাবক সহিষ্ণু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিনের বড় একটা সময় ছেলেমেয়েরা স্কুলে কাটায়। বাড়িতে চোখে চোখে রাখি। স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে মশার উপদ্রব কমবে। আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারব।’’

এ দিকে বুধবার বেশ কিছু স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এখনও তাঁদের হাতে এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা পৌঁছয়নি। তবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই সব স্কুলে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে নির্দেশিকা কার্যকর করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন