কাটোয়ার বেড়া প্রাথমিক স্কুলে চলছে পঠনপাঠন। নিজস্ব চিত্র
ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন, বিয়োজনের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুই শিক্ষককে। দু’মাস ধরে এই কাজ করবেন তাঁরা। ততদিন পঠনপাঠন বন্ধ হওয়ার মুখে কাটোয়ার বেড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কারণ, ওই দু’জন ছাড়া আর কোনও শিক্ষকই নেই স্কুলে।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বেড়া জিএসএফপি স্কুলের দুই শিক্ষক ‘ডেসিগনেটেড অফিসার’-এর দায়িত্ব পেয়েছেন। স্কুল চত্বরেই দাঁইহাটের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫১ নম্বর বুথের ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন, সংশোধন ও বিয়োজনের দায়িত্বে থাকবেন শিক্ষক গৌতম গুহ। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫২ নম্বর বুথের ওই কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন শিক্ষক বাণীব্রত বিশ্বাস। মঙ্গলবার ব্লকে তাঁদের প্রশিক্ষণ হয়। এ দিন দু’ধাপে প্রশিক্ষণ নেন তাঁরা। সেই মতো পঠনপাঠও চালান। কিন্তু আগামী দু’মাসে কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় তাঁরা। শিক্ষকেরা জানান, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত স্কুল চত্বরেই ভোটার তালিকা সংশোধনের শিবির বসবে। পঠনপাঠনের সঙ্গে ৪৩ পড়ুয়ার মিড-ডে মিল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকেরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, গত বছরও এই দায়িত্ব পড়ায় পঠনপাঠন বিঘ্নিত হয়েছিল।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম গুহ বলেন, ‘‘ওই দুই মাসের জন্য যদি অন্য স্কুলের কোনও শিক্ষককে পাঠানো হয় তাহলে পঠনপাঠন ও মিড-ডে মিল বন্ধ হবে না। কারণ দু’দিক আমাদের পক্ষে সামলানো মুশকিল।’’ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দাঁইহাট শাখার সম্পাদক অনুপ দে-রও দাবি, বিডিও ও স্কুল পরিদর্শককে অস্থায়ী ভাবে শিক্ষক পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছে। দাঁইহাট চক্রের স্কুল পরিদর্শক পিনাকী ঘোষের আশ্বাস, ‘‘ওই সময়ের জন্য শিক্ষক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। মিড-ডে মিল কোনওভাবেই বন্ধ করা যাবে না।’’