প্রাপ্তি: কাঁকসার এই স্কুলের জন্য মিলেছে অনুদান। নিজস্ব চিত্র
স্কুলের পাশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ‘কনভয়’ যাবে শুনেই ভাবনাটা মাথায় আসে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। রাস্তার ধারে স্কুল নিয়ে নানা দাবিদাওয়া লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ানো খুদেদের দিকে চোখ পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাতেই কাজ হয়েছে। স্কুলের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় দশ লক্ষ টাকা। বর্ধমানের কাঁকসার দোমড়া প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাই বলছেন, ‘‘ভাগ্যিস, মুখ্যমন্ত্রীর নজর পড়েছিল!’’
পানাগড়-মোরগ্রাম রাজ্য সড়কের পাশে প্রায় ৫৪ বছরের পুরনো এই স্কুলে পড়ুয়া ১৩৩ জন। পাঁচিল না থাকায় খুদে পড়ুয়ারা অনেক সময়েই ক্লাস থেকে বেরিয়ে ব্যস্ত রাস্তায় চলে যায়। বিপদের আশঙ্কায় ভোগেন চার শিক্ষক-শিক্ষিকা। স্কুলের চারটি ক্লাসঘর দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। মিড-ডে মিল খাওয়ার আলাদা জায়গা নেই। নেই পানীয় জলের স্থায়ী বন্দোবস্ত। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষোভ, শিক্ষা দফতর বা প্রশাসনের নানা স্তরে জানিয়েও তাঁরা সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর ব্যবস্থা করতে পারেননি।
২০১৬-র জানুয়ারিতে বোলপুর থেকে এই রাস্তা ধরে বর্ধমানে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা জানতে পেরে স্কুলের উন্নয়নের জন্য সাত দফা দাবি প্ল্যাকার্ডে লিখে পড়ুয়াদের নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। চোখ পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর। গাড়ি থামান তিনি। ডাকেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
প্রধান শিক্ষিকা বাণী হালদার জানান, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে স্কুলের দুরবস্থার কথা বলেন। সম্প্রতি স্কুলকে জানানো হয়েছে, রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রথম দফায় সাত লক্ষ টাকা মিলবে। তার কাজ শেষ হলে বাকি টাকা পাঠানো হবে।