বাঁ দিকে, ভোলাবাবুর সভা। ডান দিকে, অন্য সভায় তপনবাবু। নিজস্ব চিত্র
বছরের প্রথম দিন দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই দিনেই পূর্বস্থলী ২ ব্লকে শাসকদলের ‘অন্তর্কলহে’র ছবি সামনে এল। আলাদা জায়গায় সভা করল দলের দু’টি পক্ষ।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এলাকায় দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। সম্প্রতি জেলা পরিষদ সদস্য বিপুল দাসের অনুগামী হিসাবে পরিচিত ভোলা দেবনাথ ব্লক সভাপতি মনোনীত হন। দলের কর্মীদের একাংশের দাবি, বিষয়টি মানতে পারেননি এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তপন চট্টোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর লোকজন।
শাসকদলের একটি সূত্র জানায়, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের সাংঘোষপাড়া এলাকায় একটি জনসভার আয়োজন করেন ব্লক সভাপতি। কিন্তু সেখানে যেতে বেঁকে বসেন প্রাক্তন বিধায়কের গোষ্ঠীর কর্মীরা। তাঁরা এ দিন কালেখাঁতলা ১ পঞ্চায়েতের বিশ্বরম্ভা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সভা করার সিদ্ধান্ত নেন। তপনবাবু ছাড়াও সেই সভায় হাজির ছিলেন বেশির ভাগ পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরা।
জেলা পরিষদ সদস্য বিপুলবাবুর অনুগামীদের সভায় তিনি ও ভোলাবাবু ছাড়াও ছিলেন আর এক জেলা পরিষদ সদস্য দেবাশিস নাগ এবং পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের কিছু সদস্য। জনসভায় দুই গোষ্ঠীর নেতারা নাম না করে পরস্পরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। দু’পক্ষই দলের কর্মীদের ১৯ জানুয়ারি বিগ্রেড সমাবেশে হাজির থাকার ডাক দেন।
পৃথক সভা কেন? তপনবাবু বলেন, ‘‘আমি দলের সৈনিক। এলাকায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। তবে কে কোথায় বৈঠক করছেন জানি না। আমাদের সভায় বিপুল জমায়েত বুঝিয়ে দিচ্ছে, এলাকার মানুষ কী চান।’’ তাঁর দাবি, বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রায় দশ হাজার মানুষ এসেছিলেন তাঁদের সভায়। থানার মাঠে আবার একটি বড় সভার আয়োজন করবেন বলেও তাঁর দাবি।
বিপুলবাবুদের দাবি, তাঁদের সভাতেও প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। একই দিনে আলাদা সভার প্রশ্নে ভোলাবাবুর বক্তব্য, ‘‘অন্য কোথাও সভা হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। যাঁরা সভায় আসেননি তাঁরা হয়তো ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। দলে কোনও কলহ নেই।’’