আধিকারিককে স্মারকলিপি। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় পাঁচ দশক আগে কারখানা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দোকান দিয়েছিলেন ওঁরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের ভারী শিল্প মন্ত্রকের নির্দেশে রূপনারায়ণপুরের হিন্দুস্তান কেব্লস কারখানা (এইচসিএল) বন্ধ হওয়ার পরে তাঁদের রুটি-রুজি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। সম্প্রতি দোকানদারদের উঠে যাওয়ার বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। তা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় তিনশো ব্যবসায়ী।
কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এইচসিএলের আশপাশে সংস্থার অনুমোদিত ছ’টি বাজার রয়েছে। সেগুলিতে মোট দোকানের সংখ্যা ৫১০টি। ব্যবসায়ীদের দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তাঁরা এত দিন দোকান চালিয়েছেন। এইচসিএল কর্তৃপক্ষ জানান, ভারী শিল্প মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩১ জানুয়ারি স্থায়ী ভাবে ঝাঁপ বন্ধ হবে কারখানার। তার আগে দোকানদারদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত সেপ্টেম্বরের গোড়ায় কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্তের পরেই তাঁরা এমন আশঙ্কা করছিলেন। কারখানা বন্ধের পরে বিকিকিনি নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন এলাকার সব ব্যবসায়ী। রূপনারায়ণপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নীলকমল মৌলিক বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কাই সত্যি হল। এ বার ছেলেমেয়ে নিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোনও উপায় রইল না।’’
বিক্ষোভের পরে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দল কারখানার প্রশাসনিক দফতরের ডেপুটি ম্যানেজার স্বরূপ চক্রবর্তীকে স্মারকলিপি দেন। স্বরূপবাবুর আশ্বাস, ‘‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে।’’ এ দিন বিক্ষোভে যোগ দেন বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘‘কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। দরকারে রাজ্য ব্যবসায়ীদের ন্যূনতম প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা করবে।’’