ভোট, গরমে ভাটা রক্তে

বর্ধমান মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসে ২৪০০ ইউনিট রক্ত লাগে এই হাসপাতালে। শীতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় জোরকদমে রক্তদান শিবির হলেও গরমে তা কমে যায় অনেকটাই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯ ০০:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক দিকে ভোট, অন্য দিকে গরম। তাই ভাটা রক্তদান শিবিরে। এর ফলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে টান পড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন কর্তারা। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থাকে শিবির করার ডাক দিয়েছেন তাঁরা। বিরল গ্রুপের রক্তের ক্ষেত্রে রক্তদাতা আনার কথাও বলে হচ্ছে হাসপাতালের তরফে।

Advertisement

বর্ধমান মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসে ২৪০০ ইউনিট রক্ত লাগে এই হাসপাতালে। শীতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় জোরকদমে রক্তদান শিবির হলেও গরমে তা কমে যায় অনেকটাই। এ বার গরমের দোসর হয়েছে ভোট। লোকসভা নির্বাচনের কারণে এ বার এই শিবির আরও কমবে বলে ধারণা স্বাস্থ্যকর্তাদের। কারণ, ভোটের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে অনেক রাজনৈতিক সংগঠনই এই সময়ে শিবির করা থেকে বিরত থাকবে। ফলে রক্তের সঙ্কট দেখা দিতে পারে সরকারি ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে। এই আশঙ্কা থেকেই জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানাচ্ছে হাসপাতাল। তাদের আর্জি, জেলার অরাজনৈতিক সংগঠনগুলিকে রক্তদান শিবির করতে এগিয়ে আসুক।

হাসপাতালের তরফেও জরুরি ভিত্তিতে তিনটি শিবির আয়োজন করা হচ্ছে। প্রথম শিবিরটি করবেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। দ্বিতীয়টি করবেন নার্সেরা ও শেষ শিবিরটি করবেন হাসপাতালের কর্মীরা। তিনটি শিবির থেকে ভাল মাত্রায় রক্তের জোগান দেওয়া যাবে বলেই আশা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা জানান, যে সব সংগঠন ভোটের কারণে পিছিয়ে আসছেন, তাদের কাছে আবেদন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার রক্তদাতা এই সময়ে না পেলেও যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে সেই নিয়েই অন্তত শিবিরটা করুন। অন্য সংগঠনগুলিকেও এই বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন