Siddiqullah Chowdhury

গা-জোয়ারি নয়, কর্মীদের পরামর্শ মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার

এমন মন্তব্যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে ব্লক তৃণমূলে। এলাকায় দলের দ্বন্দ্বের জেরেই তাঁর এমন মন্তব্য বলে তৃণমূলের একাংশের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:১৩
Share:

ফাইল চিত্র।

গায়ের জোরে ভোট করা যাবে না। কেউ ভুল করে থাকলে মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান, তবেই ভোট পাওয়া যাবে— কর্মিসভায় পরামর্শ দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর এমন মন্তব্যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে ব্লক তৃণমূলে। এলাকায় দলের দ্বন্দ্বের জেরেই তাঁর এমন মন্তব্য বলে তৃণমূলের একাংশের দাবি।

Advertisement

শনিবার ফোনে সিদ্দিকুল্লা দাবি করেন, ‘‘এ বার ভোটে হয়তো মাস দু’য়েক আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসবে। গা-জোয়ারি চলবে না। কেউ ভুল করে থাকলে, মানুষের কাছে ক্ষমা না চাইলে ভোটে জেতা যাবে না। আমি যে গ্রামেই যাচ্ছি, লোকজন জানাচ্ছেন, তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ব্লক সভাপতির লোকজন এ সবে জড়িত। দলনেত্রীকে সব জানিয়েছি।’’

মঙ্গলকোট বিধানসভা এলাকায় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে বলে তৃণমূল সূত্রের দাবি। কোনও কর্মসূচিতে দুই নেতাকে এক সঙ্গে দেখা যায় না। ‘দিদিকে বলো’ থেকে ‘বাংলার গর্ব মমতা’, নানা কর্মসূচি এলাকায় আলাদা ভাবে পালন করে দুই গোষ্ঠী। শুক্রবার বিকেলেও মঙ্গলকোটে ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ নিয়ে দু’টি জায়গায় আলাদা মিছিল হয় তৃণমূলের। সেই কর্মসূচির পরে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে সিদ্দিকুল্লা ওই পরামর্শ দেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

মন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘পাঁচ বছর তিনি (সিদ্দিকুল্লা) এলাকার খোঁজ নেননি। মানুষের কাছে গিয়ে আগে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। লোকসভা ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। আমরা এলাকায় বিপুল ভোটে জিতেছিলাম।’’ তাঁর আরও দাবি, গায়ের জোরে নয়, তাঁরা মানুষের পাশে সারা বছর থাকার সুবাদেই দল ভোট পাবে।

মঙ্গলকোটের বিজেপি নেতা রানাপ্রতাপ গোস্বামী দাবি করেন, ‘‘ভোট আসছে, তাই হয়তো মন্ত্রীর বোধোদয় হয়েছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও বিধায়কের দ্বন্দ্বে মঙ্গলকোটের কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাই মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন