খোলামুখ খনি থেকে ধোঁয়া, ক্ষোভ কেন্দায়

পরিত্যক্ত খোলামুখ খনি থেকে দু’দিন ধরে ধোঁয়া ও গ্যাস বেরোতে থাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জামুড়িয়ার কেন্দা গ্রাম লাগোয়া এলাকায়। ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়েস্ট কেন্দা খোলামুখ খনি বছর দুয়েক বন্ধ আছে। সেখান থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৬ ০০:২১
Share:

খনি থেকে ধোঁয়া। —নিজস্ব চিত্র।

পরিত্যক্ত খোলামুখ খনি থেকে দু’দিন ধরে ধোঁয়া ও গ্যাস বেরোতে থাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জামুড়িয়ার কেন্দা গ্রাম লাগোয়া এলাকায়। ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়েস্ট কেন্দা খোলামুখ খনি বছর দুয়েক বন্ধ আছে। সেখান থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কেন্দা গ্রাম ও লাগোয়া এলাকা প্রায় দু’দশক আগে ধসপ্রবণ ও বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়। বারবার ধস, মাটি ফুঁড়ে ধোঁয়া, আগুন বেরোনোর ঘটনা ঘটেছে। পুনবার্সনের প্রকল্পের জন্য বাসিন্দাদের পরিচয়পত্রও অনেক দিন আগে দিয়েছে ইসিএল। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। ওয়েস্ট কেন্দার বন্ধ খোলামুখ খনিতে শুক্রবার রাত থেকেই ধোঁয়া ও আগুন বেরোতে শুরু করে। প্রায় ৫০ মিটার দূরেই বাড়ি লক্ষণ ডোম, অর্জুন পাসোয়নদের। তাঁরা জানান, মাঝে-মাঝে আগুনও বেরোচ্ছে। সেই সঙ্গে গ্যাসও বেরোনোয় শ্বাষকষ্টও হচ্ছে। ইসিএল কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তাঁদের অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কয়লা উত্তোলক সংস্থা কয়লা কেটে নেওয়ার পরে নিয়ম মেনে খোলামুখ খনি এলাকা তার দিয়ে ঘেরা বা মাটি ভরাটের কাজ করেনি। তাই এলাকায় কোনও ধরনের বিপর্যয় হলে দায় এড়াতে পারে না ইসিএল। ‘কেন্দা গ্রামরক্ষা কমিটি’র সঙ্গে যুক্ত বিজু বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ইসিএল কয়লা কাটার পরে পদ্ধতি মেনে খোলামুখ ভরাট না করায় বিভিন্ন জায়গায় তৈরি ফাটল দিয়ে বাতাস ঢুকছে ভিতরে। তার ফলে অক্সিজেনের স্পর্শে এসে ভিতরে মজুত কয়লার স্তরে আগুন ধরে বিপত্তি বাধছে।

Advertisement

ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় অবশ্য জানান, আগে ওই এলাকায় ভূগর্ভস্থ খনি ছিল। তখন উপরে অবৈধ খনি চালাচ্ছিল চোরেরা। যার জেরে এলাকাটি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ইসিএল এলাকা সুরক্ষিত করতে খোলামুখ খনির পরিকল্পনা নেয়। জায়গার অভাবে প্রায় দু’বছর কাজ বন্ধ আছে। এরই মাঝে আবার চোরেরা কয়লা কেটে নেওয়ায় বেশ কিছু ফাটল তৈরি হয়েছে। সেখান দিয়ে বাতাস ঢুকেই কয়লায় আগুন লেগে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তবে এতে আতঙ্কের কিছু নেই বলে আশ্বাস তাঁর। তিনি জানান, সোমবার থেকেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন