বিজেপির কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র।
‘মুষ্টিভিক্ষা’র নাম করে কাটোয়ার নানা এলাকায় নানা গরিব পরিবারকে ভোটের বিনিময়ে টাকার টোপ দিচ্ছে বিজেপি, অভিযোগ তুলল তৃণমূল। যদিও বিজেপি তা মানতে চায়নি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ জানুয়ারি কাটোয়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে মুস্থুলি গ্রামে পাঁচ কৃষক পরিবারের কাছে ফসল মুষ্টিভিক্ষা করে ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ শুরু করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। তার পর থেকে বিজেপি নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নানা পরিবারের কাছ থেকে ঝুলিতে ফসল নিচ্ছেন। এই কর্মসূচিতেই কাটোয়া শহরের ২, ৩, ১০, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মতো কিছু এলাকা এবং কাটোয়া ১ ও ২ ব্লকের নানা গ্রামে বিজেপির কিছু নেতা-কর্মী টাকার টোপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘সমর্থন নেই বুঝে বিজেপি ভোট কিনতে চাইছে। গরিব পরিবারগুলিতে গিয়ে মুষ্টিভিক্ষার নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর চাইছে। বিজেপিকে ভোট দিলে অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে বলে ভুল বোঝানো হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপির এই প্রলোভনের বিরুদ্ধে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। তাতে ভাল সাড়া মিলছে বলেও দাবি করেন বিধায়ক।
কাটোয়া চর ঘোষহাটপাড়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘কয়েকদিন আগেই বিজেপির কয়েকজন ঝুলি নিয়ে মুষ্টিভিক্ষা করতে আসেন। চাল দেওয়ার পরে বাড়ির দরজার পাশে ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ নামে একটি স্টিকার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি কর্মীরা আমাদের আর্থিক অবস্থার কথা তুলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর চান। বিজেপিকে ভোট দিলে কেন্দ্রের নানা প্রকল্পের টাকা জমা হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন।’’ একই দাবি শহরের ফরিদপুর কলোনি, হাজরাপুর কলোনির কিছু বাসিন্দারও।
বিজেপি নেতৃত্ব যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি। দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা (কাটোয়া) সহ-সভাপতি অনিল দত্তের দাবি, ‘‘তৃণমূল হেরে যাবে বুঝতে পেরে আগে থেকে এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। আমরা মুষ্টিভিক্ষার সময়ে এমন প্রতিশ্রুতি কাউকে দিচ্ছি না। তৃণমূল নিজেদের সংস্কৃতি আমাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।’’